গত ২৪ সালের ৫ আগষ্ট এক অভূত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর শুরু হয় সংস্কার,বিচার এবং রিসেট বাটন । দ্বিতীয় স্বাধীনতা থেকে শুরু করে নতুন জাতীয় সংগীত নিয়েও চলে মতামতা ও মাতম, যা পুরাটাই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ পরিপন্থী। শুরু হলো নিবন্ধিত ও আনিবন্ধীত ৩০ দল নিয়ে সংস্কার ও জাতীয় ঐক্যের প্রায় বছরব্যাপী আলোচনা। জুলাই সনদে নোট আব ডিসেন্টসহ ২৫ দল স্বাক্ষর করেছে, ৪ বাম দল ও অভুত্থানের প্রধান শক্তি এনসিপি স্বাক্ষর করেননি। দেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আমন্ত্রীত হননি, অংশ নেননি আলোচনায়, তার পরেও নাম তার জাতীয় ঐক্য। গতকাল জাতীয় সংসদের দক্ষিন প্লাজায় সেনা, বাহীনি,বিজিবী ও পুলিশের বেষ্টনীতে স্বাক্ষর হলো জুলাই সনদ। জুলাইযোদ্ধাদের ভাংচুর-অগ্নি সংযোগ এবং পুলিশের হামলা দেশবাসী হতচকিয়েছেন। ভুলে গেলে চলবে না, অন্তর্বতী সরকার সংবিধানের বিধি অনুসারে শপথ নিয়েছেন। ৭২’র সংবিধান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে প্রাপ্ত জাতীর এক অমূল্য সম্পদ। আজ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন,
“১৭ অক্টোবর ২০২৫ কথিত জুলাই সনদ স্বাক্ষরের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, এটি কতিপয় রাজনৈতিক দলের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাষ্ট্র দর্শনের বিরুদ্ধে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সাজানো নীলনকশার ভাগবাটোয়ার অংশাদায়িত্বের দলিল। যার ভিত্তি ধরে আগামী বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের উল্টোপথে দাড় করাবে।
কথিত জুলাই সনদ শেষ পর্যন্ত অংশীদারী দলগুলোর দরকষাকষির হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অনেক শরীক রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর বর্জন, নিবন্ধিত ৫২টি দলের মধ্যে মাত্র ১৯টি নিবন্ধিত দল স্বাক্ষর করেছে, স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পূর্বে অনুষ্ঠান স্থলে যে সংঘর্ষ, সন্ত্রাস, পুলিশী আক্রমণ ইত্যাদিও প্রমান করে ঐক্যমত্যের দলিলের স্বপক্ষের শক্তিরাও বিক্ষুদ্ধ ও বিভক্ত। এই জুলাই সনদ স্বাক্ষর সমগ্র জাতি জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলন নয় বরং বিপরীত অবস্থান, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটকে আরেক দীর্ঘস্থায়ী করবে”



