জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভারতের নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশন।
সাক্ষাৎকালে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু এবং সিএসসি সম্মেলন নিয়ে আলোচনা করেন তারা। দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ড. খলিলুর রহমান অজিত দোভালকে তার সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ড. খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) সপ্তম এনএসএ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও তার টিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দিল্লিতে পাঁচটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের জুনে বাংলাদেশ পঞ্চম দেশ হিসেবে সিএসসিতে যুক্ত হয়। এই সম্মেলনে পাঁচ দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠকে ড. খলিলুর রহমান যোগ দিবেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার রাতে এই আঞ্চলিক ফোরামে যোগ দিতে ড. খলিলুর রহমান নয়াদিল্লি পৌঁছান।
প্রসঙ্গত, কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ হচ্ছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরাম। এই ফোরামের সদস্যদেশগুলো হলো ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস ও বাংলাদেশ। আর সেশেলস পর্যবেক্ষক হিসেবে যুক্ত আছে। গত বছর এই কনক্লেভের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে। তাতে অংশ নেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, মালদ্বীপের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) ইব্রাহিম লতিফ, শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত মরিশাসের হাই কমিশনার হেইম্যানডোয়াল ডিলাম এবং শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সাগালা রত্নায়েক।
গত বছর সিএসসি সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় একটি সমঝোতা স্মারকে সই করা হয়। সিএসসি-এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সাধারণ উদ্বেগের অন্তর্ভুক্ত আন্তঃসীমান্তবর্তী হুমকি ও প্রতিরোধগুলোকে মোকাবিলা করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উন্নীত করা। এর অধীনে পাঁচটি সহযোগিতার স্তম্ভ আছে- সামুদ্রিক নিরাপত্তা; সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলা; পাচার এবং আন্তঃসীমান্ত সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলা; সাইবার নিরাপত্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও প্রযুক্তির সুরক্ষা; এবং মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলা।



