ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নেওয়ার নিয়ম, ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচারে মানা এবং ভোটকক্ষের ভেতরে স্বল্প সময় অবস্থানের যে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, ‘আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণেই’ তা করার কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সঙ্গে সমন্বয় রেখে সাংবাদিকদের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রেও এমন বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার নির্বাচন ভবনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান তুলে ধরেন সিইসি।
ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি এবং ভোটকক্ষের ভেতরে ১০ মিনিটের বেশি সময় অবস্থানের সুযোগ রেখে বিদ্যমান সাংবাদিক নীতিমালা সংশোধনের দাবি সংলাপে তোলেন টেলিভিশন মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। জবাবে সিইসি বলেন, “আপনার আমাদের ভুল বুঝবেন না। এটা শুধু আরপিওর লিগ্যাল রিকয়ারমেন্টস। এটা শুধু ইনফর্ম করার ব্যাপার। প্র্যাকটিক্যাল কারণে এটা করা হয়েছে। আইনটাকে অনার করার জন্য করা হয়েছে। আমাদের নিয়ত পরিষ্কার। গণমাধ্যম আমাদের সোর্স অব ইনফরমেশন।”
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনাররা।
ডিবিসি টেলিভিশনের সম্পাদক লোটন একরাম বলেন, “ভোটের সময় গণমাধ্যমের জন্য প্রণীত নীতিমালা সংশোধেন করতে হবে। অনিয়ম হলেও কেন্দ্রের ভেতরে সরাসরি সম্প্রচারে মানা, ১০ মিনিটের কম অবস্থান করার বিষয়টি স্বচ্ছ নির্বাচনে বাধা হবে।” বিদ্যমান আইনি কাঠামোতে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা ইসির জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলেও মত দেন তিনি। লোটন একরাম বলেন, “সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ ভাবা হলে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে সহায়তার বিকল্প নেই। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর অনিয়মের বিষয়গুলো আমলে না নিলে নির্বাচন অতীতের মত প্রশ্নবিদ্ধ হবে।” প্রশাসনসহ সর্বস্তরে ‘দায়সারা’ কাজ হচ্ছে অভিযোগ করে এ সাংবাদিক বলেন, “লেভেল প্লেয়িং তৈরি করতে তফসিল ঘোষণার আগে এখন থেকেই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী ব্যয় তদারকি, হলফনামার সঠিকতা যাচাইয়ে তৎপর থাকতে হবে ইসিকে। সোশাল মিডিয়ায় অপতথ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
এটিএন নিউজের শহিদুল আজম বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করতে ভোটারসহ জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে আচরণবিধি প্রতিপালনে ইসির ভূমিকা ‘দৃশ্যমান’ হতে হবে। “ফলাফলের সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিবন্ধিত গণমাধ্যমকে অনেক ধরনের নিয়মনীতি মানতে হয়। অনিবন্ধিত গণমাধ্যম, ফেইসবুক, ইউটিউব আটকানো যাবে না। অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, বিলম্বিত তথ্য কাম্য নয়। …জনসম্পৃক্ততা ও উৎসবমুখ নির্বাচন হলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কাজকর্মও কমে যায়।” বিশ্বাসযোগ্যতা ও ইসির প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। ইসির স্বাধীনতা কতটুকু ব্যবহার করতে পারছেন সেটা দেখার বিষয়।
“বর্তমান ইসির এখন পর্যন্ত আন-টেস্টেড। ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ভালো নির্বাচন করা। ইসির ওপর আস্থা কতটকু আছে সে প্রশ্ন রয়ে গেছে। এ ইসি এমন বড় নির্বাচন করার জন্য কতটুকু প্রস্তুত আমরা জানি না। বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থা ফেরানোটা এখন ইসির দায়িত্ব।” প্রশাসন ও পুলিশের ওপর ইসির নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন এ সাংবাদিক।
কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর কাজটি ভোটের দিন সকালে করার পরামর্শ দেন একাত্তর টিভির সিইও শফিক আহমেদ। ইসির নিজস্ব নির্বাচন কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ‘ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার’ দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন তিনি। পাশাপাশি সিইসি ও ইসির মর্যাদা মন্ত্রীর উপরে রাখা, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান শফিক আহমেদ। শফিক আহমেদ বলেন, ভোটের সময় মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্য রোধে সহায়তার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
যমুনা টিভির তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোটকেন্দ্রে গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার অবারিত করতে হবে। কমিশন সব কাজে ‘স্বচ্ছ থাকতে চাই’ মুখে বললেও মাঠে তা দৃশ্যমান করতে হবে। ভোটে অনিয়মে বাধা দিলে নির্বাচন কর্মকর্তারা হেনস্তার শিকার হবে না—এটা নিশ্চিত করতে হবে। “খেলোয়াড়রা ফাউল করবেই। খেলার সৌন্দর্য মোটাদাগের কথা। আয়োজকের অংশ হিসেবে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কারা খেলছে- যায় আসে না, আপনারা রোবট হয়ে যান পক্ষপাতহীনভাবে; আপনারা ফেয়ার থাকবেন। ইসি যতই স্বচ্ছতার কথা বলুক, মাঠ কন্ট্রোল করা খুবই কঠিন। আমলাতন্ত্র আস্থাহীনতায় চলে গেছে, এ বাস্তবতায় চলতে হবে।”
ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির মোস্তফা আকমল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপপ্রচার ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরিতে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। সেক্ষেত্রে ইসিকে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে কিভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় ও ভোট কেন্দ্র থেকে যত দ্রুত সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে, ততো দ্রুত গুজব, অপতথ্য রোধ করা সম্ভব হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর এখন পর্যন্ত পুরোপুরি আস্থা আসেনি মন্তব্য করে গ্লোবাল টিভির ফেরদৌস মামুন বলেন, আগামী নির্বাচন অনেক বেশি কঠিন হবে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইসির পদক্ষেপ দরকার। “ডিজিটাল মিডিয়া এখন গুজবের আখড়া হয়ে গেছে। এটা নিয়ন্ত্রণে ইসিকে একটা কাঠামো তৈরি করতে হবে। ভোট গণনা দেরি হলে গুজব বাড়ে, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গণনা শেষ করতে হবে।”
চ্যানেল আইয়ের জাহিদ নেওয়াজ খান জানান, পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট নেওয়ার ভালো সক্ষমতা আছে কি না এবং দূতাবাসের ‘আন্তরিকতা রয়েছে’ কি না—সংশয় রয়েছে। লেভেল প্লেয়িং তৈরিতে ইসিকে সক্রিয় থাকতে হবে। “এবারের নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার রোধ চ্যালেঞ্জ হবে। সোশাল মিডিয়া তো বন্ধ করা যাবে না; তা মোকাবেলায় তৎপর থাকতে হবে।”
গ্রিন টিভির মাহমুদ হাসান বলেন, “আইনশৃঙ্খলার যে নাজুক পরিস্থিতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে ইসি কীভাবে রোধ করতে তা ভেবে দেখতে হবে। সাবেক সিইসিকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের যারা অনিয়মে সম্পৃক্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। “সমতল মাঠ তৈরি কীভাবে সম্ভব, আমরা দেখছি না। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, কালোটাকা বন্ধ করার উদ্যোগ দেখছি না।…অতীতে অনিয়মে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ইসিকে আশ্বস্ত করতে হবে জনগণকে।”
জিটিভির গাউছুল আজম বিপু বলেন, বর্তমান ইসি কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন সবার প্রশ্ন নির্বাচন হবে তো? সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। “খুব দ্রুত সচেনতামূলক প্রোগ্রাম শুরু করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন ভোট দিতে আসে, উপস্থিতি যেন বাড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।…নির্বাচন ভালো না হলে ইসি হেরে যাবে; সঠিক তথ্য কমিশনকে জানাতে হবে।” ইসির আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ নেই মন্তব্য করে দীপ্ত টিভির এসএম আকাশ বলেন, অংশীজনদের সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হলে সাংবাদিক নীতিমালা গণমাধ্যমবান্ধব করতে হবে। গুজব রোধে ইসির ফ্যাক্ট চেকিং টিম করতে হবে। গণমাধ্যম বৈরী হলে ইসির অনেক উদ্যোগ ব্যর্থ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
সময় টিভির জহুরুল ইসলাম জনি বলেন, দেশের মানুষ উৎসবমুখর ভোটের অপেক্ষায় এবং সুষ্ঠু ভোট আয়োজনই ইসির বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে সবাই যেন সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতা পালনে ইসি যেন কঠোর ভূমিকা পালন করে।
নিউজ টোয়েন্টিফোরের শরিফুল ইসলাম খান বলেন, আইনের মধ্য থেকে ইসিকে কাজ করতে হবে এবং জনআস্থা তৈরি করতে হবে। দায় আর দায়িত্ব দুটোই পালন করতে হবে। “ইসির জন্য বড় সংকট সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা। ভোট উৎসব থেকে হানাহানিতে পরিণত হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য এখন আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রে ভালো নির্বাচনি পরিবেশের বিকল্প নেই।”
মাছরাঙা টিভির নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, অনিয়ম হলে কেন্দ্র থেকে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ইসির রয়েছে। অনেকে চাইবে, পেশী শক্তি ব্যবহারের শঙ্কা রয়েছে। আগামী নির্বাচনে আশঙ্কার বিষয় রয়েছে— সাংবাদিকদের ঠেকাতে অপতৎপরতা থাকতে পারে, তা রোধে ইসিকে সহযোগিতা করতে হবে। আনন্দ টিভির জয়নাল আবেদীন জানান, স্থানীয় প্রশাসন ভোটে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে; তাদের অপচেষ্টা রোধে কঠোর হতে হবে ইসিকে। এটিএন বাংলার একরামুল হক সায়েম বলেন, আংশিকভাবে হলেও ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। মাইটিভির মাহবুব সৈকত বলেন, “সামনের নির্বাচনে কালো টাকার মালিক, মাদক কারবারি, ব্যাংক লুটেরা যেন নির্বাচনে আসতে না পারেন; তাদের আটকাতে হবে। নির্বাচন হচ্ছে ফাইনাল খেলা। ইসির আইন বিধি প্রয়োগ এখনই শুরু করতে হবে।” বৈশাখী টিভির জিয়াউর কবীর সুমন বলেন, “নির্বাচনে ফলাফল পেতে বিলম্ব হলে গুজব বাড়বে, সেক্ষেত্রে ইসির সঠিক তথ্য সরবরাহের বিকল্প নেই।
‘আস্থা ফেরাতে তৎপর ইসি’
মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্য রোধে ইসির সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন সেল এবং বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সেল করার পরামর্শ দেন আলোচকরা। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, অপতথ্য নিয়ে সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার ও এআই অপব্যবহার এখন বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবার এখন কমন কনসার্ন। “আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা বুঝতে পারছি। অপতথ্য রোধে মূলধারার গণমাধ্যমই বড় ধরনের সহায়তা করতে হবে।…বাস্তবতা হচ্ছে সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ। আমরা লিমিট করব না, এতে ভালো ইনফরমেশনও বন্ধ হবে। সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে— এ ভাবনা মনে হয় না বাস্তব। কিছুটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে।” অপতথ্য রোধে কোনোভাবেই ইন্টারনেট বন্ধ করা নয়, বরং সঠিক তথ্যের অবাধ সরবরাহ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল বলেন, “কোনো লিমিট করব না। আচরণবিধিতে সোশাল মিডিয়া কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। আইসিটি অ্যাক্টসহ প্রচলিত আইন রয়েছে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার হবে। “নভেম্বর থেকে সচেতনতা তৈরি ও কাউন্টার মেকানিজম তৈরি করতে পারি। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়ভাবে কিছু কমিটি করা হবে।” আস্থা ফেরাতে ইসির উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল। তার ভাষ্যে, “নির্বাচনি সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গেছে…নির্বাচন ভালো করতে হবে সবাইকে নিয়ে। আমরা সবাই ভাবমূর্তি সংকটে রয়েছি। “এ আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠাই বড় চ্যালেঞ্জ। এখন কালেকটিভলি কাজ করলে সম্ভব।” প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট ভোটিং পদ্ধতি নিয়েও কথা বলে ইসি তুলে ধরেন আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, প্রতিটি পোস্টাল ব্যালটের ভোটে ব্যয় হবে ৭০০ টাকা।…পোস্টাল ব্যালটে মাত্র ২.৭ শতাংশ নিবন্ধন করেন। সবশেষ লোকসভা নির্বাচনে ১ লাখ ১৯ হাজার নিবন্ধন করে, ভোট দিয়েছে ২৯০০ জন।“প্রত্যাশা অনেক। আমাদের ধারণা- ভোট অনেক আসবে, কত হবে জানি না। প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ ব্যালট পেপার ছাপিয়ে রাখব। রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা দেখে পরবর্তী ধাপে যাব।” নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “এআই অপব্যবহার রোধে আরপিও এবং আচরণবিধিতে সাইবার সুরক্ষা আইনের বিষয়টি রেখে শাস্তি রাখা হয়েছে। এখন জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে, তাতে গণমাধ্যমের ভূমিকা লাগবে।”
সংবাদমাধ্যমের সহায়তা চান সিইসি
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন সমাপনী বক্তব্যে সংবাদমাধ্যমের সহায়তা চেয়ে বলেন, “যা আপনার পরামর্শ দেবেন, আমরা সত্যিকার পার্টনার হিসেবে পেতে চাই। …মিডিয়া ছাড়া আর কোনো গতি দেখি না। “গণমাধ্যমের সহযোগিতা লাগবে, আপনাদের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। বাধ্য হয়ে গণমাধ্যমকে পার্টনার করতে হবে, আপনাদের সহযোগিতা চাই।” গণমাধ্যম নীতিমালা নিয়ে সাংবাদিকরা শঙ্কার কথা তুলে ধরলেও তাতে অভয় দেন সিইসি। “গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ আমরা করতে চাই না। এটা লিগ্যাল রিকোয়ারমেন্ট আরপিও। ভোটের দিন প্রিজাইডিং অফিসার সর্বেসর্বা। ভোটকেন্দ্র এতো ছোট, এখন এজেন্টসহ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দরকার। সেন্টার ম্যানেজমেন্টটা দরকার। এটা প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করতে হবে।”



