দুর্নীতি মামলায় আদালতে সোমবার (১ ডিসেম্বর) হাজিরা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাকে সব অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিতে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুরোধের পর আদালতে এলেন নেতানিয়াহু।
এদিকে, নেতানিয়াহুর বিরোধীরা ক্ষমার অনুরোধে আপত্তি জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ক্ষমা বিবেচনা করতে হলে নেতানিয়াহুকে দোষ স্বীকার করে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। আবার অন্যদের মতে, ক্ষমার আবেদন করার আগে তাকে জাতীয় নির্বাচন ডাকতে হবে, যা ২০২৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, ইসরায়েলকে “এই বিশৃঙ্খলা থেকে বের করে আনার” স্বার্থে নেতানিয়াহু যদি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান, তবে তিনি বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের পক্ষে থাকবেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়া বেনেটের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার নেতানিয়াহুকে সরিয়ে দিয়েছিল। পরে ২০২২ সালের নির্বাচনে নেতানিয়াহু আবার ক্ষমতায় ফেরেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, নেতানিয়াহু রাজনীতি ছাড়লে পরবর্তী সরকারপ্রধান হওয়ার সম্ভাবনা বেনেটের সবচেয়ে বেশি।
সোমবারের তেল আবিব আদালতের বাইরে একটি ছোট বিক্ষোভ ডাকা হয়। কেউ কেউ কমলা রঙের কারাগারের পোশাক পরে নেতানিয়াহুকে কারাগারে পাঠানোর দাবি জানান। বিক্ষোভকারীদের একজন, ইলানা বারজিলাই বলেন, দোষ স্বীকার না করেই নেতানিয়াহুর ক্ষমা চাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। রবিবার প্রকাশিত প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে নেতানিয়াহুর আইনজীবীরা দাবি করেন, ঘনঘন আদালতে হাজিরা দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর শাসন পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা বলেন, একটি ক্ষমা দেশটির জন্যও উপকারী হবে।
ইসরায়েলে সাধারণত আইনি প্রক্রিয়া শেষে এবং দণ্ড ঘোষণার পরই ক্ষমা দেওয়া হয়। বিচার চলাকালীন ক্ষমা প্রদানের কোনও নজির নেই। হেরজগ সোমবার এক বিবৃতিতে স্বীকার করেন, ক্ষমার আবেদনটি দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এবং বহু ইসরায়েলিকে উদ্বিগ্ন করেছে। তিনি বলেন, আমি ইসরায়েলের সর্বোত্তম স্বার্থই একমাত্র বিবেচনা করব।
সুত্র- রয়টার্স



