রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্বামী এবং চার সন্তান রেখে গেছেন।
ফরিদা পারভিন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। ২ সেপ্টেম্বর ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর থেকে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। গত বুধবার বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
সে সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তার রক্তচাপ আশঙ্কাজনক কম। সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল এবং জ্ঞানের মাত্রাও কম ছিল।
১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় ফরিদা পারভীনের জন্ম হয়। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে তার পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়।
নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধক নানা ধরনের গান করলেও শিল্পীজীবনে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মূলত লালন সাঁইয়ের গান গেয়ে। ১৯৮৭ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৯৩ সালে সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
এছাড়া, ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার পান। বাংলা ভাষাভাষী, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের লালন ভক্তরা ফরিদা পারভিনকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবেন।