বিধিনিষেধেও ঠেকানো যাচ্ছে না
নতুন কথা প্রতিবেদন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় চলছে লকডাউন। যে যেখানে আছে সেখান থেকেই ঈদ উৎসব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই লক্ষ্যে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন সবই বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু তাতে কী আর বাঙালির নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরা ঈদযাত্রা ঠেকানো যায়! যে যেভাবে পারছেন বাড়ির পথে যাত্রা করছেন। ফলে বাস টার্মিনাল, ফেরি ও লঞ্চঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা-তাও ঘরমুখী মানুষ শিকেয় তুলেছে। কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাওয়া মানুষ মুখে মাস্কও পরছেন না। ফলে এবারে ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা এবং উৎসব শেষে কর্মে ফেরা মানুষের এই অবস্থা করোনা সংক্রমণ কমা নয়, বাড়ার আশঙ্কাই করছেন বিশ্লেষকরা।
এবার ঈদযাত্রায় মানুষের ঢল ঠেকাতে সরকার ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন বৃদ্ধি করেছে। বন্ধ রেখেছে দূর পাল্লার বাস। ট্রেনে যাত্রাও বন্ধ। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ উৎসব করা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানেও সেই সুর পাওয়া গেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তা মানছেন না। সাধারণ মানুষ করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধ অমান্য করে বাড়ি ছুটছেন বিকল্প পথে। পিকআপ, প্রাইভেট গাড়ি, ভাড়া গাড়ি, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা যেভাবে পারছেন ঘরের পথে যাত্রা করছেন। ঘরে ফেরা মানুষের মধ্যে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই। করোনাকে তারা তোয়াক্কাই করছেন না। প্রচ- চাপ রাস্তা, ফেরিঘাট ও বাস টার্মিনালে। দৌলতিয়া ও শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঢল নেমেছে। গাদাগাদি করে যাচ্ছেন মানুষ। শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এক ফেরিতেই ১২০০ জন যাত্রী। আটা-ময়দার মতো ঠাসাঠাসি করে মানুষ নদী পার হচ্ছেন।
স্বাস্থ্যবিদরা বার বার বলছেন, করোনার সংক্রমণ রোধ করতে হলে সামাজিক সঙ্গ রোধ করতে হবে। ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি দেখে মনেই হচ্ছে না দেশে করোনা বলে কিছু আছে। করোনাকে তারা কিছুই মনে করছেন না। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। পরা হচ্ছে না মাস্কও। ফলে এবারের ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে ঘরমুখী মানুষের যে অবহেলা ও অনিহা তাতে করোনার চাষ করা হচ্ছে। এতে করে করোনা সংক্রমণ বাড়া ছাড়া কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। সামনের দিনে করোনা সংক্রমণের বিপদ আরো ভয়াবহ হওয়ার সঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যবিদরা।