তবে দায়িত্ব পড়লো বামপন্থীদের কাঁধেই
মামুন ফরাজী: কেন্দ্রের সব কাজ শিকেয় তুলে পশ্চিমবঙ্গ দখলে উড়ে এসেছিল মোদী-অমিত শাহ ও তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা। ক্ষমতা, টাকা আর গেরুয়া বাহিনী-সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েও বিজেপি’র বাংলা দখলের আশা পূরণ হয় নি। তৃতীয় বারের মতো রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানো বিজেপি’কে পরাস্ত করেছে পশ্চিম বাংলার মানুষ। তবে এবারের নির্বাচনে রুটি-রুজি-কাজের দাবি এবং দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতির বিপরীতে অসাম্প্রদায়িক-ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বিকল্প সরকার গড়ার ডাক দিয়েছিল বামফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চা। তারাও সুবিধা করতে পারে নাই। কেবল পরাজিত’ই নয়, ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্ট এবার বিধান সভায় ১ টি আসনও পায় নি। রাজ্য বিধান সভায় কোনো আসন পায়নি সংযুক্ত মোর্চার আরেক শরীক কংগ্রেস। জোটের মুখ রেখেছে কেবল ভাঙড়ে বিজয়ী আইএসএফ’র নওশাদ সিদ্দিকী। ১৯৭৭ সালের পর বামফ্রন্ট এই প্রথম বিধান সভায় প্রতিনিধিত্ব হারালো। নির্বাচনে বামপন্থীদের এই মহাবিপর্যয় কেন?-প্রশ্ন রাজনৈতিক সচেতন মানুষ ও বিশ্লেষকদের। চুলছেড়া বিশ্লেষণ করে আগামী লড়াইয়ের প্রস্তুতি গ্রহণের দাবি তুলেছেন বামফ্রন্ট নেতাকর্মীরাও। ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু অবশ্য বলেছেন,“সবকিছু বিশ্লেষণ করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।”
এই উপমহাদেশে বামপন্থী আন্দোলনের পথ প্রদর্শক ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। টানা দীর্ঘ ৩৪ বছর এ রাজ্য শাসন করেছে বামপন্থীরাই। ২০১১-এর নির্বাচনে পরাজয়ের পর পশ্চিমবঙ্গে বাম শক্তি ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। ওই বছর বামফ্রন্ট তৃণমূলের কাছে হারলেও আসন পেয়েছিল ৬২টি। ২০১৬-তে পায় ৩২টি। কিন্তু ২০২১ সালে এসে বামফ্রন্ট বিধানসভায় কোনো আসনই পেল না। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি (২১৩) আসন নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। আর ৭৭ টি আসন নিয়ে বিরোধী আসনে বসেছে চরম হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি।
নির্বাচন ঘিরে এ রাজ্যে বামপন্থীরা ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে নির্বাচনী জোট গঠন থেকে-প্রার্থী নির্বাচন আর প্রচারে এনেছিল অভিনব কৌশল। ফেসবুক, ইউটিউবে ছিল বহুমাত্রিক প্রচার। কর্পোরেট দাসত্ব করা বাজারি মিডিয়া প্রচার না করলেও বামপন্থীদের সভা-সমাবেশ-পথসভা-র্যালিতে মানুষের অংশগ্রহন ছিল স্বতস্ফুর্ত। ফ্রেবুয়ারি’র বিগ্রেড সমাবেশ ছিল স্মরণকালের সর্বোবৃহৎ মহাসমাবেশ। প্রতিটি নির্বাচনী সভা ও প্রচারে মানুষের অংশগ্রহণ দেখে অনেকেই ধারণা করে ছিল, এবার বামপন্থীরা ক্ষমতায় যেতে না পারলেও শক্তিশালী বিরোধী শক্তি হিসেবে আর্বিভূত হবে। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিল ২ মে’র ফলাফল। সেখানে অবস্থান তো দূরে থাক বামফ্রন্ট ও তাদের নয়া জোট সংযুক্ত মোর্চা দাঁড়াতেই পারে নাই। তাহলে কি বামপন্থা মিথ্যে হয়ে গেল! বামেদের নীতি ও আদর্শ কি শেষ হয়ে গেল! ‘না’ তা হয় নি। বামপন্থী নীতি ও আদর্শের প্রায়োগিক ভুল থাকতে পারে, কিন্তু তা মিথ্যে নয়। কারণ একই দেশে কেরালায় প্রথা ভেঙে এই প্রথম দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে বামফ্রন্ট। কেবল ক্ষমতায়’ই আসে নাই, বিজেপি’কে ফিরিয়ে দিয়েছে শুন্য হাতে। বামফ্রন্ট আগের চেয়ে আসনও বেশি পেয়েছে। তাহলে একই নীতি ও আদর্শে বিশ^াসী পশ্চিমবঙ্গে বামেদের এমন ধরাশায়ী অবস্থা কেন হলো?-এ প্রশ্নের উত্তর খুজছেন অনেকেই। কেউ বলছেন, বামপন্থীরা শ্রেণী-রাজনীতিতে আটকে আছেন বলেই এই অবস্থা। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গেরুয়াদের নিয়ে যখন ভীত; তখন তারা মালিক-শ্রমিক, ধনী-গরিব এসব নিয়ে কথা বলেছে। যদিও তাদের এই রাজনীতি’ই ঠিক; কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আবহে গেরুয়াবিরোধী অবস্থানকে মুখ্য করা উচিত ছিল। এ কথা সবাই জানেন যে, মমতার হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি তথা গেরুয়া শিবিরের আগমন। কিন্তু মমতার মোদী-বিরোধী বর্তমান অবস্থান সেই দায়কে অনেকটাই ঢেকে দিয়েছে। মমতার ভুল এবং তার দলের লোকজনের সীমাহীন দুর্নীতিকে এখন আর মানুষ বিজেপির চেয়ে বড় মনে করছে না। নির্বাচনী ফল অন্তত তাই বলছে। যাই হোক; বিশ্লেষকরা পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের এই বিপর্যয়ের পেছনে যেসব কারণ দেখছেন তা হলো-
হিন্দুত্ববাদের জোর প্রচার : পশ্চিমবঙ্গে এবার ভোটের ফলে নির্ধারক ভূমিকা রেখেছে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি। হিন্দুত্ববাদের সুনামি এখানকার সমাজে তীব্র মেরুকরণ ঘটিয়েছে। কর্পোরেট অনেক মিডিয়া বিজেপি’র পক্ষে জোর প্রচার চালিয়েছে। কিন্তু এটাকে রুখতে পারেনি বামপন্থীদের শ্রেণি-রাজনীতি। বামফ্রন্ট শ্রেণি-রাজনীতি দিয়ে ধর্মবাদী মেরুকরণকে অকেজো করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তা হয় নি। মানুষ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মুক্তির পথ দেখেছে মমতার সামাজিক কর্মসূচির মধ্যে। মমতার ‘বাংলা প্রেমের’ শ্লোগানেও মজেছেন অনেকে। গেরুয়া সুনামি রুখতে তারা মমতা’য় আস্থা রেখেছে।
মুসলিমরা আস্থা পায়নি : এবারের ভোটে মুসলমানদের ওপর গেরুয়া ভীতি জেকে বসেছিল। বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় এলে নানাভাবে নিগ্রহের শিকার হবেন-এটা ভেবে মুসলমানরা যেকোনো মূল্যে বিজেপিকে ঠেকাতে সচেষ্ট ছিল। তারা এমন একটি শক্তি খুজছিল যেটি বিজেপিকে রুখে দিতে সক্ষম। বামপন্থীকে তারা এমন শক্তি মনে করেন নি। অথবা বামপন্থীরা নিজেদের সেই আস্থার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন নি। এ কারণেই মুসলমানরা তৃণমূলকে বেছে নেয়। তাদের কাছে তৃণমূলের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, তোলাবাজি-সব অন্যায়ই গৌণ হয়ে যায়। এবার মুসলমানদের শ্লোগান ছিল-‘মোদী ঠেকাতে দিদিকে ভোট দিন।’ পশ্চিমবঙ্গে মুসলমান ৩০ শতাংশ ভোট বামপন্থীদের বাক্সে না গিয়ে তৃণমূলের বাক্সে গিয়েছে। অথচ একটা সময় মুসলমানদের ভরসার জায়গা ছিল বামপন্থীরাই।
নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করতে না পারা : বামপন্থীরা প্রথমবার ভোটার হওয়া তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করতে পারেন নি। পশ্চিমবঙ্গে এবার প্রায় ২০ লাখ এ রকম ভোটার ছিল। মমতার আগ্রাসী নির্বাচনী প্রচার নতুন ভোটারদের বিভ্রান্ত করেছে। বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা না করতে পারলেও কন্যাশ্রী, তপশ্রী-এ ধরনের মন ভুলানো বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি নিয়ে তিনি এক ধরনের ক্যামোফ্লেক্স তৈরি করে নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করেন। অন্যদিকে বেকারদের চাকরি ইস্যুতে বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলো ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রাম করেও নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারে নি। মমতার তাৎক্ষণিক লাভের টোপের কাছে দীর্ঘ মেয়াদি লাভের আশা গৌণ হয়ে গেছে। নতুন ভোটারদের আকর্ষণ করতে বামপন্থীরা এক ঝাঁক তরুণ-তরুণীকে প্রার্থী করলেও তাতে কাজ হয় নি। কারণ ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এইসব তরুণ প্রার্থীদের অন্তত এক বছর আগে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। হঠাৎ করে নতুন জায়গায় প্রার্থী করায় অল্প সময়ে তাদের পক্ষে সর্বস্তরের মানুষের আস্তা অর্জন করা সম্ভব হয় নি। এছাড়া তরুণদের আরো বেশি সংখ্যায় নীতিনির্ধারণী স্তরে জায়গা দেওয়া দরকার ছিল। সেটা না করায় বামফ্রন্টভূক্ত দলগুলো বুঝতে পারে নি পশ্চিমবঙ্গের তরুণ সমাজ কী ভাবছে, কী চাইছে।
মমতার সঙ্গে বামপন্থীদের বিরোধ পুরোনো। কিন্তু সেই বিভেদকে বিজেপি-আরএসএসের সুনামির কালেও রাজনীতির প্রধান কর্তব্য করে রাখা স্থানীয় জনসমাজে সমর্থন পায় নি। রাজ্যেও ভোটারদের বড় অংশ চাইছিল বামেরা এবার বিজেপিকে প্রতিরোধ প্রধান কর্তব্য হিসেবে নিক। বিহারের বামপন্থীরা কয়েক মাস আগে সে কাজই করেছিল। বিজেপি বিরোধী সব শক্তির সঙ্গে ঐক্য করার নীতি নিয়ে সেখানে তারা পুরনো প্রতিপক্ষ লালু প্রসাদ যাদবদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট করে। তাতে ফল হয়েছে, এই জোটের হিস্যা হিসেবে পাওয়া ২৯টি আসনের ১৬টিতেই তারা জিতেছে। কিন্তু বাংলায় এটা করতে পারে নি বামপন্থীরা বা করার বাস্তবতাও ছিল না। বিজেপি ইস্যুতে তৃণমূলের সঙ্গে এক হওয়া সম্ভব নয়। কারণ তৃণমূলের হাত ধরেই বিজেপি বাংলায় প্রবেশ করেছে। বাধ্য হয়ে বামপন্থীরা কংগ্রেসের সঙ্গে ঐক্য করেছে। বিষয়টিকে কংগ্রেস বিরোধী বামও ভালভাবে নেন নি। কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে বামপন্থীদের অতীত ইতিহাস সুখকর নয়। এই কংগ্রেসর হাতেই বামপন্থী হাজার হাজার নেতাকর্মীর রক্ত ঝড়েছে। এছাড়া আব্বাস সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আইএসএফ (ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট)-কে জোটে নেওয়াকেও ভালোভাবে নেয় নি ধর্মনিরপেক্ষ বড় একটি অংশ। কারণ আব্বাস সিদ্দিকীর অতীত কর্মকা- ভাল নয়। তিনি সাম্প্রদায়িক ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সারা ভারতে সমালোচিত হয়েছেন। আর মুসলমানরাও ভেবেছে সংযুক্ত মোর্চাকে (বাম নেতৃত্বাধীন জোট) ভোট দিলে বিজেপির লাভ হবে। যদিও ফুরফুরার পীর সাহেবের আরেক ছেলে নওশাদ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে মুসলমানরা ছাড় দিয়েছেন। অর্থাৎ বামপন্থীরা পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে কৌশলগত ভুল করেছে। বিহারে যে কৌশল তারা নিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তা নিতে পারে নি।
বামফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চা উগ্র সাম্প্রদায়িক বিজেপি এবং দুর্নীতিবাজ মমতাকে রুখতে অসাম্প্রদায়িক-ধর্মনিরপেক্ষ নতুন সরকার গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা বিরোধী অবস্থানটা মানুষের কাছে স্পষ্ট করা বা সেইভাবে পৌঁছাতে পারে নি। আর সে কারণেই পশ্চিম বাংলার মানুষ হয়তো বিজেপি রুখতে বামপন্থার ওপর আস্থা আনতে পারেন নি। ফলে বিজেপি’কে রুখতেই তারা তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছে। শুধু বিজেপি বিরোধী ভোটার নয়, যারা সাধারণভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচক, তারাও তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। কারণ বিজেপি’কে আটকাতে হবে-এই মানসিকতা তাদের মধ্যে কাজ করেছে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীদের এই ব্যর্থতাকে গোটা ভারতে বামপন্থার ব্যর্থতা হিসেবে দেখারও সুযোগ নেই। কারণ, একই সময়ের নির্বাচনে কেরালায় বামপন্থীরা আবারও ক্ষমতায় এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য বিহারেও কয়েক মাস আগের নির্বাচনে বাম দলগুলো অতীতের চেয়ে অনেক বেশি আসন পেয়েছে। কেরালায় এবার বামপন্থীরা শুধু যে জিতেছে তা নয়, প্রথা ভেঙে দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে। তাহলে কী এখানেই শেষ! বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘না’। বামপন্থীদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় নি। বরং নির্বাচনের পরে তাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। ক্ষমতার রাজনীতিতে উগ্র সাম্প্রদায়িক বিজেপি পরাজিত হলে সাম্প্রদায়িকতার বিষ থেকেই গেল। আগের চেয়ে আরো বেশি মাত্রায় বিজেপি’র সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজেপি’র উগ্রসাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নিলো। তারা পরাজিত হলেও বিধান সভায় বসছে বিরোধী শক্তি হিসেবে। এই শক্তির ওপর ভর করেই বিজেপি আগামীতে পশ্চিম বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। হিংসার আগুন ছড়িয়ে তারা বাংলা’র মানুষকে বিভক্ত করার চেষ্টা করবে। বিজেপি’র সেই সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত ভেঙে দিতে পারে কেবল বামপন্থীরাই। তাই নির্বাচনে বিপর্যয় হলেও সামনে পশ্চিম বাংলা রক্ষায় বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি রোখার দায়িত্ব পড়লো বাপমপন্থীদের কাঁধেই।