Wednesday,4,December,2024
27 C
Dhaka
Wednesday, December 4, 2024
Homeজাতীয়‘কমরেড সাহিদুর আমৃত্যু আর্দশের সাথে আপোষ করেননি’

‘কমরেড সাহিদুর আমৃত্যু আর্দশের সাথে আপোষ করেননি’

নতুন কথা রিপোর্ট : কমরেড শেখ সহিদুর রহমানের মৃত্যু নেই। তিনি এদেশের শ্রমিক-কৃষক মেহনতী মানুষের বন্ধু ছিলেন। তিনি আমৃত্যু আর্দশের সাথে আপোষ করেননি। শক্তিশালী পার্টি-সংগঠন গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে কমরেড সাইদুরের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি শেখ সাহিদুর রহমানের স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। খুলনা জেলা ও মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি দৌলতপুর শেখ মতিয়ার রহমান মিলনায়তনে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।
পার্টির খুলনা জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট কমরেড মিনা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য ও জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক। পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য দীপংকর সাহা দিপু, মহানগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী মোল্লা, নগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফারুক উল ইসলাম, কেসিসি কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী। বক্তব্য দেন সেখ সাহিদুর রহমানের ছেলে বিএম আরিফুর ইসলাম তুরান, পার্টির জেলা নেতা গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, শ্রমিক নেতা খলিলুর রহমান, মহানগর নেতা আব্দুস সাত্তার মোল্লা, সাংস্কৃতিক সংগঠক শাহীন জামান পন, সিপিবি নেতা পূর্নেন্দু দে বুবাই, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা অজয় কুমার দে, নূরুল ইসলাম নূরু, যুবমৈত্রী জেলা সভাপতি প্রভাষক রেজওয়ান হোসেন রাজা, ছাত্রমৈত্রীর জেলা সভাপতি বিকাশ মন্ডল।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে স্মরণ সভা শুরু হয়। একই সাথে কমরেড সাহিদুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক বলেন, আজ বড় দুঃসময়ে জনগণের সৎ, সাহসী ও বিপ্লবী প্রতিনিধি কমরেড শেখ সাহিদুর রহমানকে আমাদের বার বার মনে পড়ছে। তিনি আজীবন পার্টিতে শৃংখলার সংগে থেকে জনগণের জন্য বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক এবং একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য নিজেকে নিবেদিত রেখে ছিলেন। এ কারণেই বার বার তিনি সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং সংসদ সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হয়ে তিনি জনগণের আস্থাভাজন ছিলেন। আজীবন এই বিপ্লবী আমাদের লাল পতাকার মিছিলে ও জনগণের লড়াই-সংগ্রামে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলেন তিনি উল্লেখ করেন।

বিশেষ অতিথি পার্টির অন্যতম পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ-এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, কমরেড শেখ সাহিদুর রহমানের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো যথার্থ হবে, যদি আমরা সর্বত্র গরীব মেহনতী মানুষের লড়াই-সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারি।

সর্বশেষ