নতুন কথা ডেস্ক: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান এমপি ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি সোমবার (০৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে কভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমনের ব্যপকতা ও মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
করোনার ভয়বহতা মোকাবেলায় সরকার ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন অনুসরণসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে ৫ এপ্রিল থেকে সপ্তাহব্যাপি লকডাউন ঘোষণা করেছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের যে বিধান জারী করা হয়েছিল তা মানা বা নির্দেশ মেনে চলার ব্যবস্থা গ্রহনের কোন উদ্দ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। অন্যদিকে লকডাউন ঘোষণার পর গত বারের ন্যায় এবারও সীমিত সময়ে ঢাকা ছাড়ার জন্য মানুষ প্রানান্তকর চেষ্টা ও ঈদ-উৎসবের ন্যায় বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার যে হিড়িক তাতে যে দৃশ্যমান স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের পরিবেশ তৈরী করা হলো তা ভয়াবহ সংক্রমনের অনিবার্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের যাতায়তের বাহন বন্ধ করে ব্যক্তিগত বাহনে চলাচলের সুযোগ শুধু অমানবিকই নয়, বৈষম্যমুলক। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় সরকারের নির্দেশিত ১৮দফা নির্দেশিকা অনুসরণ ও জনগনকে স্বাস্থবিধি প্রতিপালনে জেলা প্রসাশনের কোন দায়দায়িত্ব আছে! বিবৃতিতে তাঁরা বলেন,লকডাউনের কারনে নি¤œ আয়ের মানুষ তথা শ্রমজীবি মানুষের জীবিকা সংকটে বিপন্ন হবে। সংকট মোকাবেলায় তাদের জন্য খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সরবরাহ ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন,লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকলেও সরকার উৎপাদনের স্বার্থে মিল-কারখানা চালু রাখার ঘোষনা দিয়েছে,একারণে শ্রমিকদের জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করতে হবে। তাই করোনা কালে শ্রমিক কর্মচারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা,করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা , তাদের ঝুকি ভাতা প্রদান ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রকিদের খাদ্য ও নগদ সহায়তা প্রদান করতে হবে। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবে আমাদের স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে। করোনা আক্রান্ত মানুষ যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায় তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রি জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘আইসিউ’ ব্যবস্থার কথা বলেছেন, তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে।