বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সভা সারাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুহার এবং দ্রব্যমূল্যের বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের পরিকল্পিত উর্ধহার সম্পর্কে সরকার ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমূহের নিশ্চেষ্ট ও নির্বিকার মনোভাবের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে।
আজ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ অনলাইনে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর সভা ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভয়বাহতা উল্লেখ করে বলেছে মশক নিধনে যেমন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে ঢাকার দু’টি সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোন দৃশ্যমান কার্য্যক্রম নাই। তেমনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঢাকায় আসতে বারণ করা ছাড়া আর বিশেষ কিছু করছেনা। এব্যাপারে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি বিষয়ে পরামর্শও তারা গ্রহণ করছেনা। অতীতে যেমন জরুরীকালীন পরিস্থিতির মত এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া হত এবার সেটা একেবারেই অনুপস্থিত।
অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজারে কিছু পণ্যের দাম বেধে দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে। বাজার মূল্যের এহেন অবস্থার পিছনে যে সিন্ডিকেট কাজ করছে সেটা স্বীকার করে নেয়ার পরও ঐ সিন্ডিকেট ভাঙ্গার বা সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করার কোন উদ্যোগ পর্যন্ত নিচ্ছে না। এই উভয়ক্ষেত্রেই মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমূহকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজন জরুরী হয়ে পড়েছে।
সভায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনায় বলা হয় বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ যতখানি না, তার চেয়ে বেশী ডেঙ্গু ও দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি দেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরী করছে। সেই বিবেচনা থেকেও এই উভয় পরিস্থিতি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মত মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতায় মধ্যে রাখার জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার ওপর জোর দেয়া হয়।
পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা। পলিটবুরোর সদস্য কমরেড ড. সুশান্ত দাস, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কমরেড নুর আহমদ বকুল, কমরেড কামরূল আহসান, কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ, কমরেড অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হক্কানী, কমরেড হাজী বশিরুল আলম, কমরেড অধ্যাপক নজরুল হক নীলু, কমরেড আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান।