নতুন কথা প্রতিবেদন: সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ বুকের তাজা রক্তে দিয়ে, সম্ভ্রমের বিনিময়ে ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের চেতনায় অর্জিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার পঞ্চাশ বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করছে। এখনো দেশের মানচিত্রকে খুবলে খেতে চাইছে স্বাধীনতার পরাজিত সাম্প্রদায়িক শক্তি। তারই ধারাবহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটলো আরো একবার। প্রতিবছর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। জড়িত দু-একজন গ্রেফতার হয়, আবার জামিন পেয়ে যায় আইনী জটিলতায়।
আজ বিকেল ৫টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ্ আলী খান কলিন্স এবং সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ সানী এই মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা আশা করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সরকারের আমলে এই সাম্প্রদায়িক হামলা-নিপীড়নের স্থায়ী সমাধান করতে সরকার কঠোর অবস্থান নিবে এবং ভিন্ন ধর্মালম্বীদের ধর্ম পালন ও সম্পত্তি রক্ষার নিশ্চিয়তা দিতে কঠোর অবস্থান নিবে। কিন্তু এক যুগের অধিক সময় ক্ষমতায় থাকার পরেও সরকারের উদাসীনতাই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আরো সংগঠিত করছে।
তারা আরো বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই। তাই এখন সময় এসেছে এসি রুমে বসে দোষারোপের রাজনীতি ত্যাগ করে সকল দল-মত-নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রহিহত করাসহ এদের পেছনের শক্তিকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার। অন্যথায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির কাছে পরাজিত হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে। যা বাংলাদেশের জন্য সুখকর হবে না।