ধর্ম মানুষের হাজার হাজার বছরের বিশ্বাস।সেটা যে ধর্মেই হোক।নিপীড়িত, শোষিত,বিপদগ্রস্হ,রোগাক্রান্ত, অসহায়,লাঞ্ছিত, বাঞ্ছিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্হল তাদের নিজনিজ ধর্মের সৃষ্টিকর্তা। ধর্মাচার এবং ধর্মের নামে যারা ব্যবসা করে তাদের অনেকর কাছে ধর্ম নিপীড়নের হাতিয়ার।অসৎকর্ম ও নানামূখি সুবিধা আাদায়ের মাধ্যম হিসেবে ওই গোষ্ঠীটি ধর্মকে ব্যবহার করে।বঙ্গবন্ধু ৭১ এর সু- মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ধর্মকে ব্যবহার করে কি বর্বরোচিত, নৃশংস কান্ড ঘটানো হয়েছিল,পাকিস্তানি শাষকগোষ্ঠী বাংলায় যে অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল তা বুঝতে পেরেছিলেন বলেই ৭২- এর সংবিধানে ৪ মূলনীতি সংযোজন করেছিলেন।ধর্ম সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষ নিজনিজ ধর্ম নিরবিগ্নে পালন করতে পারবেন।কেউ কারো ধর্মকে আঘাত করতে পারবেনা।রাষ্ট্র এটাকে নিশ্চিত করবে। পাহারা দেবে।রাষ্ট্র হবে সব,ধর্মের, সব মানুষের,নাগরিকের।জাতি- ধর্ম- বর্ণ- নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।সর্বক্ষেত্রেই।বাংলাদেশের ধর্ম নিরপেক্ষতা ইউরোপোর ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয়।ওইসব দেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চার নামে মানুষের হাজার বছরের বিশ্বাস এবং ধর্মের বিরুদ্ধাচারণ করা গেলেও তা বাংলাদেশে করা যাবেনা।বঙ্গবন্ধুর এই অবস্হানের বিরুদ্ধে সেই সময়ে অনেক কট্টরপন্থী প্রগতিশীল শক্তি- গোষ্ঠী সমালোচনায় মূখর হয়েছিলেন।জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,” আমি বাঙালী,আমি মুসলমান এবং আমি মানুষ”।মানুষ হিসাবে তিনি ছিলেন সবার।ধর্মের নামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র উৎসব উদযাপনকে ঘিরে যা ঘটানো হল তা কোনক্রমেই ধর্মাচারের অনুষঙ্গ হতে পারে না।পরবর্তীতে ধর্মের মূখষের আড়ালে যা ঘটল তা কোন ধর্মেই অনুমোদন দিতে পারেনা।রাষ্ট্রচারের সীমানা ডিঙিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মতুয়া সম্প্রদায়ের মন্দির পরিদর্শন কতখানি সঠিক!- তার প্রতিবাদ করেছেন ভারতের অনেকেই।শেষকথা: ধর্ম আমার, তোমার,যার যার সকলের বিশ্বাস।এটাকে শ্রদ্ধা করেই আমাদের চলতে হবে।” শোন হে মানুষ ভাই সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই”।পবিত্র কোরানুল করিমেও সে কথা স্পট বলা আছে।বলা হয়েছে, মানুষই সৃষ্টির সেরা জীব।
লেখকঃ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, পলিটব্যুরো সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।