।। মুক্তার হোসেন নাহিদ ।।
ফিদেলে ক্যাস্ত্রোর ভাষায় ‘হিমালয়’, এপিজে আব্দুল কালামের ‘ঐশ্বরিক আগুন’ আর বিশ্ব মিডিয়ার ভাষায় ‘ক্ষণজন্মা পুরুষ’ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ছিল গত ১৭ মার্চ। ১৯২০ সালের এদিনেই জন্মেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ’৭৩-এ কিউবান বিপ্লবের মহানায়ক কমরেড ফিদেল ক্যাস্ত্রো আলজেরিয়ায় জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে একান্ত সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেছিলেন “আমি হিমালয় দেখিনি। তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি হিমালয়ের সমান। এভাবে আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতাই লাভ করলাম।” ফেনার ব্রেকওয়ে বলেছিলেন,“সংগ্রামের ইতিহাসে লেনিন, রোজালিনবার্গ, গান্ধী, নকুমা, লুমমবা, ক্যাস্ত্রো ও আলেন্দের সঙ্গে মুজিবের নাম উচ্চারিত হবে।” কেবল কমরেড ফিদেল, এপিজে কামাল, ব্রেকওয়ে নয়-আরো অনেক বিশ্বনেতা এমনকি বঙ্গবন্ধুর ঘোর শত্রুরাও তার নেতৃত্ব ও সাহসের প্রসংশায় পঞ্চমুখ ছিলেন।
বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলনের সুচনাপর্ব, প্রথম স্বাধীনতার প্রকাশ্য ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা এবং মুক্তির সংগ্রামে বামপন্থীদের অনেক ক্ষেত্রে আগুয়ান ভূমিকা পালন করেছে-এ কথা দিবালোকের মত সত্য। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের প্রতিটি পর্যায়ে বামপন্থী ও তাদের সুহৃদ মজলুম নেতা মওলানা ভাসানির অবদান ছিল অপরিসীম। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের কৌশলগত ভুল এবং কিছু নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্ত ও বিভাজনের কারণে জাতীয়তাবাদী ধারায় সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন।
আজ থেকে শতবর্ষ আগে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়েছিল খোকা নামের এক নবজাতক শিশু। কে জানতো বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা সায়েরা খাতুনের আদরে ডাকা এই খোকা’ই একদিন কেবল নিজেকেই নয়, বাংলাদেশকেও তুলে ধরবেন বিশ্ব দরবারে। ওই অজোপাড়া গাঁয়ের খোকা আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতির জনক ‘বঙ্গবন্ধু’, তার পারিবারিক নাম নয়। এটা তার বাঙালির প্রতি ভালোবাসা ও ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ উপাধি। ’৬৯-এ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাবরণ থেকে মুক্তিলাভের পর ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ লোকের বিশাল জনসভায় তাকে এ উপাধি দেন আজকের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তৎকালীন ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমদ। বঙ্গবন্ধু হঠাৎ করে নেতা হন নি। ছোটবেলা থেকেই মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা, মমত্ববোধ এবং নেতৃত্ব প্রদান তাকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। সেই কিশোর বয়সে বৃষ্টিভেজা গরিব বন্ধুকে ছাতা দিয়ে নিজে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরেছেন। গরিব পথচারিকে খুলে দিয়েছেন নিজের জামা। শীতার্ত বৃদ্ধকে গায়ের চাদর আর বাবার গোলা থেকে ধান নিয়ে গরিব মানুষকে দিতে কিশোর খোকা মোটেও কাপর্ণ্য করেন নাই। স্কুলের গরিব বন্ধুরা যাতে পড়ালেখা করতে পারেন তার জন্য বন্ধুদের সাথে নিয়ে মুষ্টির চাল ভিক্ষা করে তাদের বই-খাতা ও পরীক্ষার খরচ যুগিয়েছেন। আবার যৌবনে সেই ’৪৩-এর দুর্ভিক্ষে দিন-রাত রিলিফের জন্য কাজ করেছেন।
প্রতিবাদ ও নেতৃত্বে গুণাবলী সেই স্কুল জীবনে। অষ্টমশ্রেণি পড়া অবস্থায় শেখ মুজিব স্কুলের ছাদ সংস্কার করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সামনে দাঁড়িয়ে দাবি তোলার সাহস দেখিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে আমরা চসমা পরা দেখি। এই চসমা পরেন ১৯৩৬ সাল থেকে। ওই বছর তার চোখে গ্লুকোমা রোগ হলে চিকিৎসক ড. টি আহমেদ তার চোখের অপরেশন করে চসমা ব্যবহার করতে বলেন। যা ছিল আমৃত্যু।
বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে আসেন ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে। তার আগেই তিনি ১৯৩৮ সালে প্রথম জেলে যান। ’৪৩-এ যোগ দেন বেঙ্গল মুসলিম লীগে। ’৪৬-এ হন কলিকাতা ইসলামিয়া ছাত্র সংসদ-এর সাধারণ সম্পাদক। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ভর্তি হওয়ার পর ১৯৪৮ এর ৪ জানুয়ারি গঠন করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জানুয়ারি পুরান ঢাকায় কাজী হুমায়ন রশীদের রোজ গার্ডেনে গঠিত হয় পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। শেখ মুজিবুর রহমান জেল থেকে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। শামসুল হক অসুস্থ হলে তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন। ৫৪-র যুক্তফ্রন্ট সরকারের কৃষিমন্ত্রী এবং ’৫৬-তে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী হন। ১৯৫৫ সালে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে দলের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। (যা মুক্তিযুদ্ধের সময় হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।) ১৯৫৭ সালে পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে মত বিরোধের কারণে কাগমারীর সম্মেলনে মওলানা ভাসানী দল থেকে পদত্যাগ করে ওই বছরের ২৫ জুলাই ঢাকার রুপমহল সিনেমা হলে গঠন করেন ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ (ন্যাপ)। মওলানা ভাসানীর নতুন দল গঠনের কারণে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ। ’৬৪-তে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ পুনর্জীবন লাভ করে। ওই বছর কাউন্সিলে তর্কবাগীশকে পূর্ণাঙ্গ সভাপতি করা হয়। সাধারণ সম্পাদক হন শেখ মুজিবুর রহমান। ’৬৬ তে শেখ মুজিব ছয়দফা কর্মসূচী ঘোষণা করলে তর্কবাগীশ তার বিরোধীতা করেন। ’৬৬-র কাউন্সিলে দলের সভাপতি হন শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর বহু লড়াই সংগ্রাম এবং ’৭০ এর নির্বাচন, সেই নির্বাচনে পাকিস্তানিদের ক্ষমতা হস্তান্তর না করা, ১৯৭১ এর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫শে মার্চে গণহত্যা, ২৬শে মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মহান মুক্তির সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাঙালির মুক্তির অবিসংবাদিত নেতা।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রাম এবং রাষ্ট্রচিন্তা থেকে স্পষ্ট বলা যায় তিনি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। সমাজতন্ত্রের প্রতিও তার অগাধ আস্থা ছিল। ছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। সেটা তার মুক্তির সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বক্তব্য এবং সংবিধানে তা প্রতিস্থাপন বড় প্রমাণ। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদ বিরোধী। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে বলেছিলেন,“ এদেশ সমাজতন্ত্র হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না….গরিব হবে রাষ্ট্র ও সম্পদের মালিক, শোষক নয়। তিনি অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ২৩৪ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,“আমি নিজে কমিউনিস্ট নয়, তবে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বিশ^াস করি না। একে আমি শোষকের যন্ত্র হিসেবে মনে করি। এই পুঁজিবাদী সৃষ্টির অর্থনীতি যতদিন থাকবে ততদিন দুনিয়ার মানুষের উপর থেকে শোষণ বন্ধ হতে পারে না। পুঁজিপতিরা নিজেদের স্বার্থে বিশ্বযুদ্ধ লাগাতে বদ্ধপরিকর।” তিনি বলেছিলেন, “বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত। আমি শোষিতের পক্ষে।” তার চিন্তা ছিল বাংলাদেশের মালিকানা থাকবে জনগণের হাতে। বাংলাদেশ হবে শোষণমুক্ত। ১৯৭২ সালের ৯ মে রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে বলেছিলেন, “ বড় বড় কলকারখানা জাতীয়করণ করে সাড়ে সাত কোটি মানুষের সম্পত্তি করে দিয়েছি।” করেছিলেনও তাই। স্বাধীনতার পরেই তিনি বড় বড় ব্যাংক, বীমা, কাপড়ের কল, পাটকল, চিনিকল জাতীয়করণ করেন।
ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে সংবিধান প্রণয়নের আগে তৎকালীন গণপরিষদ অধিবেশনে স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, “ বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ।” তিনি বলেছিলেন, “ ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে। কেউ কারো ধর্ম পালনে বাধা দিতে পারবে না। তবে রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকবে না। রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ ব্যবহার করে তাকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখান করবে।” এর ভিত্তিতে ৭২-এর সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা স্থান পায়।
আর গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,“আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্র সেই গণতন্ত্র যা মানুষের কল্যাণ সাধণ করে থাকে। আজ ধনতান্ত্রিক বিশ্বে যে গণতন্ত্র প্রচলিত আছে তা হলো বুর্জোয়া গণতন্ত্র।” বলেছিলেন, “বুর্জোয়া গণতন্ত্রে পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় ধনীদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় তারা শুধু ধনসম্পদেই ফুলে ফেঁপে ওঠে না, রাজনীতি, আইনসভা এমনকি বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসনও তাদের আয়ত্তে থাকে।” বঙ্গবন্ধু এও বলেছেন,“ ওই গণতন্ত্র গরিব মানুষের কল্যাণ করে না। শুধু বিত্তবান, ক্ষমতাধর, সুবিধাভোগী শ্রেণি, অর্থবিত্তের বাড়বাড়ন্তদের সুযোগ সৃষ্টি করে। ফলে সমাজ ওয়ে ওঠে আর্থিক লুটপাট ও শোষণের মৃগয়া ক্ষেত্র।” রাষ্ট্রচিন্তা ও দর্শনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন দুরদর্শী নেতা। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট এই মহান নেতাকে বিশ্বাসঘাতকেরা স্বপরিবারে হত্যা করে। বাঙালি হারান তাদের স্বাধীনতার স্রষ্টা আর বিশ্ব হারায় এক মহান নেতা।
আজকের বাস্তবতায় বঙ্গবন্ধুর সেই জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু ও সংবিধানের চার মূলনীতিতে ফেরা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কিন্তু আমরা উন্নয়নে এগিয়ে গেলেও চার মূলনীতি বাস্তবায়নে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছি। আমরা ধীরে ধীরে বন্দি হচ্ছি সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, পুঁজিবাদের খপ্পরে। যার আশঙ্কার কথা বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন সেই ’৭৫-এর আগে। বাকশাল তৈরির পর এক অসাধারণ বিশ্লেষণে তিনি বলেছিলেন ‘আওয়ামী লীগ একটি মাল্টিক্লাশ পার্টি। আমি তার নামের আগে কৃষক-শ্রমিক লাগিয়েছি বৈকি, কিন্তু দলটির চরিত্র এখনো বদলাতে পারি নাই। রাতারাতি তা সম্ভব নয়। আমার দলে নব্যধনীরা আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় তাদের লুটপাটের সুযোগ বহুগুণ বেড়ে গেছে। আমি তাদের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই বাকশাল করেছি। যদি এই ব্যবস্থা সফল করতে ব্যর্থ হই এবং আমার মৃত্যু ঘটে, তাহলে দলকে কব্জা করে ওরা আরো লুটপাটে উন্মত্ত হয়ে উঠতে পারে। এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশের মূলমন্ত্র শত্রুপক্ষের নীতি ও চরিত্র অনুসরণ করে আওয়ামী লীগেরও চরিত্র ও নীতি পাল্টে ফেলতে পারে। যদি তা হয়, সেটাই হবে আমার দ্বিতীয় মৃত্যু। সেজন্য আগেই বলেছি, আমার দল, আমার অনুসারীদের হাতেই যদি এই দ্বিতীয় মৃত্যু ঘটে, তাহলে দীর্ঘকালের জন্য বিস্মৃতির অন্ধকারে চলে যেতে হবে। কবে ফিরব তা জানি না।” বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমার প্রত্যাশা আসুন তার দ্বিতীয় মৃত্যু না ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ি। যে বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের চার মূলনীতির ভিত্তিতে গঠিত শোষণমুক্ত বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ।
লেখক: সাবেক ছাত্রনেতা।