নতুন কথা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়্যাল রিসোর্টে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গত মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও আহত এক সাংবাদিক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। একটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার এসআই ইয়াউর সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও রয়্যাল রিসোর্ট ভাঙচুরের ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। এ ছাড়া এ মামলায় সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মহিউদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব ইকবাল হোসেনসহ হেফাজত ইসলামের উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
এ ছাড়া থানার এসআই আরিফ হাওলাদার বাদী হয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় মামলাটি করেন। এ মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০/৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ মামলায় হেফাজত ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ রয়েছে।
অপর মামলাটি করেন হেফাজত ইসলামের কর্মীদের হামলায় আহত স্থানীয় এসএ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান। এ মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০/৮০ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার তবিবুর রহমান তিন মামলার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় আরো একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে।