ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মতিউর এর স্মৃতির প্রতি ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মতিউর রহমান এর স্মৃতির প্রতি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেছে। আজ ২৪ জানুয়ারি ২০২১ সকাল ৯টায় বক্সীবাজারস্থ নবকুমার ইনষ্টিটিউটের শহীদ মতিউরের স্মরণে স্থাপিত অস্থায়ী ব্যদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এসময় ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন, ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন, কমরেড জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, কমরেড মুর্শিদা আখতার নাহার, কমরেড আব্দুল আহাদ মিনার, কমরেড মামুন মোল্লা, কমরেড হুমায়ুন মজিব প্রমুখ। 

উল্লেখ্য,  দীর্ঘ দিনের নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তথা ছাত্র সমাজ প্রণীত ১১ দফার ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালের এ দিনে গণঅভ্যূত্থান সংঘঠিত হয়। এই গণঅভ্যূত্থানের পথ ধরেই বাঙালি জাতি ’৭০ এর নির্বাচনে বিজয় লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৭১’ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয় ঘটে।

এর আগে ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে মুক্তিকামী, দেশপ্রেমিক বাঙালি জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যূত্থান সংঘঠিত হয়। আসাদ হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ২৪ জানুয়ারি ২৪ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করে। লাখো জনতা রাজপথে নেমে এসে মিছিলে যোগ দেয়। প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা জাতি। ২৪ জানুয়ারির হরতাল বানচাল করার জন্য সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারা ভেঙে দুপুরে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের মিছিল সচিবালয় এলাকা অতিক্রম করে পল্টন ময়দানের দিকে যাওয়ার সময় পথে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে নবকুমার ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান শহীদ হয়। কিশোর মতিউর তাঁর আত্মত্যাগে বাঙালি জাতির ইতিহাসে নিজের স্থান করে নেয়। মতিউরের মৃত্যুর মাধ্যমে জনতার রুদ্ররোষ ও গণঅভ্যূত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুবের স্বৈরতন্ত্রের।