ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করেছেন। সুত্র জানায়, সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় যমুনায় সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “বিকাল ৫টায় যমুনায় পদত্যাগপত্র জমা দেন দুই উপদেষ্টা। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে তাদের পদত্যাগ কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া এই দুই ছাত্রনেতার পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের মঙ্গল কামনা করেন।
“তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে তোমরা যেভাবে জাতিকে ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তির পথে অবদান রেখেছ তা জাতি মনে রাখবে। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও বিকাশে তোমরা একইভাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবসময় তোমাদের অবদান স্মরণ করবে। আমি তোমাদের সুন্দর ও শুভ ভবিষ্যৎ কামনা করি। এত অল্প সময়ে তোমরা জাতিকে যা দিয়েছ তা জাতি কখনো ভুলবে না। এটি একটি রূপান্তর মাত্র। আমি আশা করি, আগামীতে বৃহত্তর পরিমণ্ডলে তোমরা আরো বড় অবদান রাখবে।
প্রেস সচিব জানান, পদত্যাগী দুই তরুণ উপদেষ্টাকে ‘নিজেদের কর্মের মাধ্যমে দেশের মঙ্গলে নিয়োজিত থাকার’ আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। “প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সরকারে থেকে যে অভিজ্ঞতা তোমরা অর্জন করেছ, তা ভবিষ্যৎ জীবনে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে। কিন্তু তারা আরও সময় চান। এর মধ্যে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। উপদেষ্টা পরিষদের অনেকে এ ব্যাপারে একমত ছিলেন যে তফসিল ঘোষণার পর দুই ছাত্র উপদেষ্টার সরকারে থাকা উচিত হবে না। শেষ পর্যন্ত সরকারের অবস্থান মেনে নিয়ে তফসিল ঘোষণার আগে আগে পদত্যাগ করলেন তারা।
সরকারে দায়িত্ব পালন করায় আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম এতদিন এনসিপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দিলেও অভ্যুত্থানের নেতাদের এ দলে তাদের প্রভাব রয়েছে। এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে গত রোববার একটি নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। এনসিপি বুধবার ১২৫ আসনে আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। তবে ঢাকা-১০ কিংবা লক্ষ্মীপুর আসনে এখনো কাউকে মনোনয়ন দেয়নি দলটি।



