নতুন কথা প্রতিবেদনঃ সদ্য মার্কিন নির্বাচনের পর আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে তাদের আর সবক দেয়া চলে না। আমেরিকার সাম্প্রতিক নির্বাচন বুর্জোয়া গণতন্ত্রের ক্লেদ ও নোংরা চেহারা প্রকাশ করেছে। কমরেড আবুল বাশার বুর্জোয়া গণতন্ত্রের এই অসারতা সম্পর্কে তার জীবদ্দশায় বলেছেন এবং সমাজতন্ত্রের জন্য সারাজীবন লড়েছেন।”-বললেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন। কিংবদন্তি শ্রমিক নেতা কমরেড আবুল বাশারের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওই স্মরণ
সভার আয়োজন করেছিল ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি। গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় ভিডিওকলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বর্ষীয়ান এই নেতা
আরো বলেন, কমরেড আবুল বাশার শ্রমিকশ্রেণীকে তাদের অর্থনৈতিক দাবি-দাওয়া থেকে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নিয়ে এসেছেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের শ্রমিকদের ভূমিকা তার প্রমাণ। তিনি বেঁচে থাকলে সরকারের সাহস হতো না পাটকল বন্ধ করার মত অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করার। কমরেড মেনন বলেন, তাঁর নেতৃত্বে পাট, সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিকেরা বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বিরাষ্ট্রীয়করণ ঠেকিয়েছিল। আজ এ সময় তাঁর নেতৃত্ব এ দেশের শ্রমিকদের শুধু নয়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্যও বড় প্রয়োজন ছিল। ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
স্মরণ সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শরীফ শমশির, ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়,শ্রমিকনেতা দেলোয়ার হোসেন, মহানগর কমিটির সম্পাদকমÐলীর সদস্য কমরেড মোঃ তৌহিদ প্রমুখ।
