রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নূরুল হক ওরফে নূরাল পাগলের মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ তৌহিদী জনতা। এ সময় কবর থেকে মরদেহ তুলেও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি হুঁশিয়ারি ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচির মাধ্যমে কবর গুড়িয়ে দেওয়া হবে।
একই সঙ্গে ৫ সেপ্টেম্বর জেলার পাঁচ উপজেলার মুসল্লিদের নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণাও দেওয়া হয়।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা মাজার পরিদর্শন করেন , এ সময় তিনি ঘোষণা দেন— পুর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
জুন্মার নামাজের পরপরই বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা পরিকল্পিতভাবে মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়ে মরদেহ তুলে পুড়িয়ে দেয়।
এর আগে, গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যদের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান বলেন, আমাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে জনতা বাড়ি ও দরবারে হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় আমার গাড়িসহ পুলিশের দুটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
তিনি জানান, আহতের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা যায়নি। বর্তমানে সেনাবাহিনী ও র্যাব ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, এমন একটি ঘটনা ঘটবে তা আমরা ভাবিনি। উভয় পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে সমাধান করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই আমরা হামলার শিকার হই।
এ সময় তিনি ও রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিবসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। বর্তমানে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ২২ জন আহত রোগী এসেছে। এর মধ্যে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ১৯ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।



