থমকে আছে জাতীয় কৃষিশুমারি

নতুন কথা প্রতিবেদন:কৃষি হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। কৃষির সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু গত এপ্রিলে শুরু হওয়ার কথা কৃষিশুমারী করোনার দাপটে থমকে আছে। বাংলাদেশ পরিসিংখ্যন ব্যুরো(বিবিএস) এখনো তা শুরু কতে পারে নি। তবে খুব শীঘ্রই এই কাজ শুরু হওয়ার আভাস দিয়েছে বিবিএস। এ জন্য শুমাররির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে ২ বছর।
বিবিএস কর্মকর্তারা জানান, করোনার কারণে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। মাঠ পর্যায়ে জরিপ গত এপ্রিলে চালানোর কথা থাকলেও তা হয় নি। এখন সময় বাড়িয়ে সংশোধিত ডিপিপি তৈরি করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আশা করি এই সময়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে কাজ শেষ করতে পারব।
দেশের সকল সাধারণ খানার মধ্যে কৃষিখানার কাঠামো, বৈশিষ্ট নিরুপণ, কৃষিখানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমির ব্যবহার, কৃষির প্রকার, শস্যের ধরণ, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু, হাসমুরগির সংখ্যা, মৎস্য চাষ, কৃষি ক্ষেত্রের জনবল, প্রভৃতি সম্পর্কে কৃষি শুমারির কাজ শুরু করবে। প্রতি ১০ বছর পর পর এই শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০০৮ সালে কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেশের দরিদ্র, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের ভাগ্য উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়নে সরকারি নীতি, কর্মসূচী প্রণয়নে সহায়তা করতে বিভাগ, জেলা, থানা উপজেলা, ইউনিয়ন, মৌজাসহ পল্লী ও শহরাঞ্চলে কৃষি পরিসংখ্যান প্রস্তত করাই কৃষি শুমারির উদ্দেশ্য।