শুক্রবার,২৬,এপ্রিল,২০২৪
34 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Homeগণ অর্থনীতিধনী-গরিব বৈষম্য : দেশে ১০ শতাংশ শীর্ষ ধনীর আয় জাতীয় আয়ের ৪৪...

ধনী-গরিব বৈষম্য : দেশে ১০ শতাংশ শীর্ষ ধনীর আয় জাতীয় আয়ের ৪৪ শতাংশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ বৈশ্বিক মহামারী করোনার বিপর্যস্ত বিশ্বে বেড়েছে ধনীর সম্পদ। বেড়েছে বেড়েছে ধনী-গরিব বৈষম্যও। এখন বিশ্বের ১০ শতাংশ ধনীর হাতে কুক্ষিগত ৭৬ শতাংশ সম্পদ। অন্যদিকে বাংলাদেশে শীর্ষ ১০ শতাংশ ধনীর আয় মোট জাতীয় আয়ের ৪৪ শতাংশ। আর শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর আয় ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। এ তথ্য উঠে এসেছে এক আন্তর্জাতিক সংস্থার সমীক্ষায়।
প্যারিসভিত্তিক দ্য ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি নামক ওই সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সালে বিশ্বের ধনকুবেরদের সম্পদের পরিমাণ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে একদিকে ধনীর সম্পদ বেড়েছে, অন্যদিকে অতিরিক্ত ১০ কোটি মানুষ নিপতিত হয়েছে চরম দারিদ্র্যে।
গবেষণা বলছে, বিশ্বের ৫২ ধনী ব্যক্তির সম্পদ গত ২৫ বছরে ৯.২ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছর বৈশ্বিক বিলিয়নিয়ার তথা অতিধনীদের পারিবারিক সম্পদের সম্মিলিত পরিমাণ বেড়ে বৈশ্বিক সম্পদের ৩.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০২০ সালের প্রথম দিকে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগে ছিল ২ শতাংশের সামান্য বেশি।
বিশ্বের মোট আয়ে নারীদের অংশ প্রায় ৩৫ শতাংশ। ১৯৯০ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩০ শতাংশ। গবেষকরা বলছেন, গত ২৫ বছরে বিশ্বের ৫২ জন ধনী ব্যক্তির সম্পদের মূল্য ৯.২ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপে সম্পদের ক্ষেত্রে কিছুটা সমতা লক্ষ্য করা গেছে। এখানে মোট আয়ের ৩৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ১০ শতাংশ ধনী। তবে মধ্যপ্রাচ্য এবং নর্থ আমেরিকায় এই চিত্র পুরোপুরি ব্যতিক্রম। এই অঞ্চলে মোট আয়ের ৫৮ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করছে ১০ শতাংশ ধনী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশে শীর্ষ ১০ শতাংশ ধনীর আয় মোট জাতীয় আয়ের ৪৪ শতাংশ। একই সময়ে শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর আয় হয়েছে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। যা ২০০৭ সালে ছিল ১৭ দশমিক ১ শতাংশ। চিত্র দেখে শীর্ষ ধনীদের আয় কমেছে বলে মনে হলেও বাস্তবে তা বেড়েছে। কারণ এই সময়ে দেশের জিডিপির আকারও বেড়েছে।
প্রতিবেদনটির মুখবন্ধ লেখক ভারতীয় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি ও এস্থার দুফলো বলেছেন, সঠিক নীতি মাধ্যমে অসমতা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আবার ভুল নীতির কারণে অসমতা লাগাম ছাড়া হয়ে যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে তারা রোনাল্ড রিগ্যান ও মার্গারেট থ্যাচারের নব্য উদারনীতিবাদী নীতির সমালোচনা করেছেন। এ ধারার কারণে ভারত ও চীনে প্রবৃদ্ধির হার বাড়লেও ভারত এখনো বিশ্বের সবচেয়ে অসম দেশের একটি বলে মন্তব্য করেন এ দুই অর্থনীতিবিদ। অক্সফামের গত বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়, আয় বৈষম্য ও সুষম উন্নয়ন না হওয়ায় বিশ্বজুড়ে দিনে দিনে ধনীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশ্বের প্রায় সাতশ কোটি মানুষের দ্বিগুণ পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এক শতাংশ ধনীর হাতে।

সর্বশেষ