শুক্রবার,২১,নভেম্বর,২০২৫
22 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
প্রচ্ছদসীমানা পেরিয়েনির্বাচনে জেতার পর ট্রাম্পের সঙ্গে এটিই মামদানির প্রথম বৈঠক

নির্বাচনে জেতার পর ট্রাম্পের সঙ্গে এটিই মামদানির প্রথম বৈঠক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন দেশটির নিউনিয়র্ক সিটির মেয়র পদে জয়ী জোহরান মামদানি। নির্বাচনে জেতার পর ট্রাম্পের সঙ্গে এটিই হবে তার প্রথম বৈঠক।

বৈঠকে জননিরাপত্তা, জীবনযাত্রার ব্যয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন মামদানি। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সাম্প্রতিক নির্বাচনী তিক্ততার পরও নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার এই বৈঠকটি স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত হবে। মূলত নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুজনই একে অপরকে কটাক্ষ করেছিলেন।

৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট মামদানি চলতি মাসের শুরুতে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে নয় পয়েন্টের ব্যবধানে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে পরাজিত করেন। নির্বাচনের আগে নিউইয়র্কের বাইরে তিনি খুব পরিচিত ছিলেন না, কিন্তু এখন তিনি জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘কমিউনিস্ট মেয়র’ হোয়াইট হাউসে বৈঠকের অনুরোধ করেছেন এবং ওভাল অফিসে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। পরে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মামদানি জানান, বৈঠকে জননিরাপত্তা, জীবনযাত্রার ব্যয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হবে।

মামদানি বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরিষ্কার জানিয়ে দেব— নিউইয়র্কবাসীর উপকারে আসবে এমন যেকোনো ইস্যুতে আমি তার সঙ্গে কাজ করব। আর কোনও এজেন্ডা নিউইয়র্কের ক্ষতি করলে, সেটাও প্রথমে আমিই বলব।” মামদানির মুখপাত্র ডোরা পেকেক জানান, দায়িত্ব নিতে যাওয়া প্রশাসনের জন্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই ধরনের বৈঠক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

মূলত ট্রাম্পের সঙ্গে মামদানির সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয় গত জুনে। সেসময় মামদানি ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে জয়লাভ করেছিলেন। পরে ট্রাম্প মামদানিকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ‘ভবিষ্যৎ কমিউনিস্ট’ বলে আক্রমণ করেছেন এবং তিনি জিতে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম এই শহরটিতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।

ট্রাম্পের জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিউইয়র্কে এবং নির্বাচনের আগের সপ্তাহগুলোতে তিনি প্রায়ই মামদানিকে এমন একজন ‘চরমপন্থি’ হিসেবে উপস্থাপন করেন, “যে নাকি জীবনে খুব কমই কাজ করেছে”। এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প দেশজুড়ে অভিবাসন দমন অভিযান চালালেও নিউইয়র্ককে “অভিবাসীদের শহর” হিসেবেই রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মামদানি। এ জন্য তিনি অতিরিক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেছেন এবং প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।

সর্বশেষ