প্রবীণ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব আমিনুল ইসলাম গোলাপ আর নেই। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড সুগার, উচ্চ রক্তচাপ ও প্যানক্রিয়াস ইনফেকশনসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত ১৯ অক্টোবর পেটব্যথা নিয়ে রংপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসা শুরুর আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গাইবান্ধা শহরজুড়ে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। রাজনৈতিক সহকর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য এবং নাগরিক সমাজের মানুষরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম গোলাপের মরদেহ বর্তমানে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। শুক্রবার গাইবান্ধায় তাঁর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।
আমিনুল ইসলাম গোলাপ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য,জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি তিনি গাইবান্ধা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এবং গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্র জীবন থেকে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শ্রমজীবী-মেহনতী মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।
সন্ধ্যার পরে আমিনুল ইসলাম গোলাপের মরদেহ পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে আসে এবং পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি, গনসংগঠন সমুহ ফুলেল শ্রদ্ধা ও লাল সালাম জানায়। জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে প্রতিনিধি দল ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়।



