রবিবার,১৬,নভেম্বর,২০২৫
20 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৫
প্রচ্ছদজাতীয়বাংলাদেশ এগোচ্ছে এই বয়ানকে ফেলে দিতে হবে- বেকারত্ব মহামারি পর্যায়ে, বাড়ছে দারিদ্র্য...

বাংলাদেশ এগোচ্ছে এই বয়ানকে ফেলে দিতে হবে- বেকারত্ব মহামারি পর্যায়ে, বাড়ছে দারিদ্র্য : হোসেন জিল্লুর

ছদ্মবেশী বেকারত্ব মহামারি পর্যায়ে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘তরুণদের মধ্যে হতাশা এই সংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরছে।’

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত ‘বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পদক্ষেপ এবং এফবিসিসিআইয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘বহুদিন পর বাংলাদেশে দারিদ্র্য উল্টো পথে হাঁটছে।

ছদ্ম বেকারত্ব মহামারি আকার ধারণ করেছে। তরুণদের মধ্যে হতাশার জায়গাগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন। প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টির ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি।

এই ঘাটতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার চেয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির সচলতা, অর্থনীতির গতি। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অর্থনীতির ভাষায় নেসেসারি কন্ডিশন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কথা যখন আমরা বলি, তখন খুব সহজেই কিছু আত্মতুষ্টির ট্র্যাপে ঢুকে যাই।

বাংলাদেশ এগোচ্ছে এই বয়ানকে ফেলে দিতে হবে। আজকের মূল এজেন্ডা এগোনোর গতি। এগোচ্ছে—এই নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।’তিনি আরো বলেন, ‘আজকে সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে গতি। সেই গতি হচ্ছে অর্থনীতির গতি।

সরকারের কাজে গতি ও ডিসিশনের গতি দরকার। অর্থনীতির গতি দরকার। আমরা এগোচ্ছি—এই আত্মতুষ্টির ফাঁদ থেকে মুক্ত হয়ে গতির সঙ্গে এগোচ্ছি, এমন বয়ান বা ন্যারেটিভে প্রেস করতে হবে। গতি ছাড়া বাংলাদেশের আলোচনা নিরর্থক।’

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বিগত সরকারের ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে ভয়ানক অনৈতিক গোষ্ঠীতন্ত্রের বাস্তবতা আমরা দেখেছি। এই গোষ্ঠীতন্ত্রকে সামনে রেখে সার্বিক বেসরকারি খাতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো কিন্তু ভুল হয়ে যাবে।

সর্বশেষ