মহান রুশবিপ্লবের ১০৩ বছর

নতুন কথা ডেস্ক :আজ ৭ ই নভেম্বর। মহান রুশ বিপ্লবের ১০৩ বছর। ১৯১৭ সালের ইতিহাসের এ দিনেই রাশিয়াতে কমরেড ভিআই লেনিনের নেতৃত্বে শ্রমজীবী মানুষের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য বিপ্লবী অভুত্থান শুরু হয়। এটি ছিল দুনিয়ার ইতিহাসে প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। পরবর্তীকালে ১০ দিনের লড়াইয়ে সেই অভুত্থানের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র দুনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন। আজকের দিনে সেই সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই। তাতে কী! রুশ বিপ্লবের প্রাসঙ্গিকতা শেষ হয়ে যায় নি। বরং দিন দিন তা বাড়ছে। আজকের দিনেও শ্রমজীবী শোষিত-বঞ্চিত মুক্তিকামী মানুষের লড়াইয়ে রুশ বিপ্লবের চেতনা প্রবলভাবে কাজ করে। খোদ রাশিয়ার মানুষ আবার ফিরতে চান সমাজতন্ত্রে। গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত পুঁজিবাদীরা যতই হাবুডুবু খাচ্ছে ততই তারা দক্ষিণপন্থার চেহারা নিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। মানুষের ওপরে আরো বেশি বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। গরিবের রক্ত চুষে ওরা পুঁজির পাহাড় করছে। বাড়ছে ধনী-গরিবের বৈষম্য। তাই সমতার দুনিয়া প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে পৃথিবীর দেশে দেশে সমাজতন্ত্রীরা এগিয়ে যাচ্ছে। পুঁজিবাদ-সা¤্রাজ্যবাদ হাজারো চেষ্টা করে পারে নি মেক্সিকোতে। ইভো মোরালেস আবার ফিরে আসছে। সারা পৃথিবীতে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের লড়াই তীব্র হচ্ছে। দুনিয়া জুড়ে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হচ্ছে মার্কসবাদ ও সমাজতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা। সেকারনেই শতবর্ষ পরেও রুশবিপ্লব এত প্রাসঙ্গিক।বিশেষ করে বাংলাদেশে যখন পুঁজিবাদীদের শোষণ-দুর্নীতি-লুটপাট বাড়ছে, শ্রমিকের ঘামঝরা অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে,মুষ্টিমেয়ে কিছু মানুষ টাকার পাহাড় গড়ছে, আর আর শ্রমজীবী-মধ্যবিত্তরা গরিব থেকে গরিব হচ্ছে, তখন শোষিত মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য রুশবিপ্লবের চেতনায় সামনে লড়তে হবে জোড় কদমে। ৯৫ ভাগ মানুষের সম্পদ লুটে খাবে মাত্র ৫ভাগ মানুষ তা হতে পারে না। আগামীর সমতা ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ প্রত্যয়ে রুশবিপ্লবের চেতনা আরো চির জাগরুক হোক এটাই সকলের প্রত্যাশা।