নতুন কথা ডেস্ক : বাংলাদেশ যুবমৈত্রী’র সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্স ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ সানি’র যৌথ বিবৃতিতে বলেন. সম্প্রতি হেফাজত ইসলাম দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরী করে ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, যানমালের তিসাধন করেছে এবং রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। সরকারি দল হেফাজতের ব্যাপারে এখনো সুস্পষ্ট অবস্থান নেননি। গতকালকে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফজলুল করিম সেলিম হেফাজতের বিচারের দাবিতে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনের দাবি করেছেন। অথচ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ হেফাজতকে ছাড় দিয়ে জামায়াত-শিবিরকে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ থেকেই স্পষ্ট যে সরকারি দল হেফাজতের ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে পারেনি। এতে করে দেশের মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন হেফাজতকে লালন-পালন করছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন হেফাজতকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তা না হলে গতকালকে এই ধরনের ঘটনা পারতো না। গতকাল মামুনুল হক সর্বশেষ নারী কেলেঙ্কারি পর তার কর্মীরা তাকে ছিনতায় করে নিয়ে চলে যায়। প্রশাসন মামুনুল হক কে এখনো গ্রেফতার করে নাই। নেতৃদ্বয় বলেন, এই মুহুর্তেই মামুনুল হককে গ্রেফতার করার জন্য জোর দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, এই দরিদ্র মানুষের তাদের সহায় সম্বল শেষ করে গত লকডাউন মোকাবেলা করেছে। এবারের লকডাউনে সরকারি সহায়তা না পেলে এই মানুষদেরকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে তড়িৎ পদপে নিতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, লকডাউনে সকল কিছু বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও গার্মেন্টস শিল্প খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এতে করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যেই থেকে গেল। শ্রমিকরা এই স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে দেশের উৎপাদনে নিয়োজিত থাকলেও তারা রাষ্ট্রীয় কোন সহায়তা পায় না। বরং রাষ্ট্রীয় সহায়তা পায় গার্মেন্টস মালিকরা। এ থেকে শ্রমিকদের মধ্যে সরকারি নীতির প্রতি বিােভ তৈরী হচ্ছে। যা প্রশমনে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী। গার্মেন্টস শ্রমিকদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকারি সহায়তাদানের আহ্বান জানান।
নেতৃদ্বয় আরোও বলেন, করোনা মহামারিতে বেকার যুবকদের আপদকালীন মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে বেকার ভাতা প্রদান আহবান জানান। দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি আজ সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। যার লাগাম ঠেনে ধরতে না পারলে জীবন ও জীবিকা হুমকির সম্মূখীন হবে। আওয়ামী লীগ সরকারকে শ্রমিক-কৃষক-শিল্প বান্ধব হওয়ার আহবান জানান এবং আওয়ামী লীগকে সংবিধানের চার মূলনীতি চর্চার মাধ্যমে দেশ পরিচালনার আহবান জানান।