বৃহস্পতিবার,২৫,ডিসেম্বর,২০২৫
14 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫
প্রচ্ছদসম্পাদকীয়স্মরণার্ঘ্যমুক্তিযোদ্ধা ও ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরীর মৃ্ত্যুবার্ষিকী আজ

মুক্তিযোদ্ধা ও ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরীর মৃ্ত্যুবার্ষিকী আজ

 আবু ওসমান চৌধুরী ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল, মুক্তিযোদ্ধা ও ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। তাঁর জন্ম ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে।

তিনি স্থানীয় চান্দ্রা ইমাম আলী হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫৪ সালে চাঁদপুর কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন আবু ওসমান চৌধুরী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মেজর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ইপিআরের (বর্তমান বিজিবি) চুয়াডাঙ্গা ৪ নম্বর উইংয়ের কমান্ডার ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অনেক সেনা নিহত হয়। যুদ্ধের প্রথম দিকে তিনি পদ্মার দক্ষিণ-পশ্চিম বৃহত্তর অঞ্চলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাত্তরের মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গার বিস্তীর্ণ এলাকা হানাদারমুক্ত ছিল।

মে মাসের শেষের দিকে ওই অঞ্চলকে ৮ ও ৯ নম্বরে দুটি সেক্টরে বিভক্ত করা হলে আবু ওসমান চৌধুরীকে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে মেজর মঞ্জুরকে ৮ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হলে আবু ওসমান চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর সদর দপ্তরে নিয়োজিত করা হয়।

আবু ওসমান চৌধুরীর জীবনে একটি বড় ট্র্যাজেডি হলো, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনা অভ্যুত্থানে তাঁর স্ত্রী বেগম নাজিয়া ওসমানের করুণ মৃত্যু।

জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর লিখিত ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বইটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটি মূল্যবান গ্রন্থ।

তিনি ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৮৪ বছর বয়সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

সর্বশেষ