রোজিনার মামলায় জব্দ করা গোপন নথির তথ্য চায় ওয়ার্কার্স পার্টি

ঢাকা ডেস্ক: টিকা সংগ্রহে কালক্ষেপণ বন্ধ করা ও সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলায় জব্দকৃত নথিগুলোতে কী রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য রয়েছে তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

শুক্রবার (২১ মে) দলটির পলিটব্যুরো দেওয়া এক বিবৃতিতে করোনার টিকা সংগ্রহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ের যে দীর্ঘসূত্রিতা ও অদক্ষতার কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুলে ধরেছেন তাতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতে করোনা সংক্রমণের বেড়ে যাওয়ায় সেদেশ থেকে টিকা সরবরাহের বিষয়টি অনিশ্চিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য সূত্র থেকে দ্রুত টিকা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা গেছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা কালক্ষেপণের কারণে সেটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আগেও চীনা টিকার হিউম্যান ট্রায়ালের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা দেখেছি। পরবর্তীতে অর্থের অজুহাত তুলে সেটা আর হয়নি। অন্যদিকে চীন বাংলাদেশকে ৫ কোটি টিকা উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি ফেব্রুয়ারি মাসে জানালেও সেটিও অনুমোদন দিতে তিন মাস লেগেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশে উৎপাদনের জন্য গ্লোববায়োটেকের ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকার হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হবে কি-না সেই সিদ্ধান্তও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে টিকা সংক্রান্ত তথ্য জানতে গেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হয়রানিসহ শারীরিক নির্যাতন কর হয়। আবার গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য অবৈধভাবে সংগ্রহের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য অবৈধভাবে সংগ্রহের অভিযোগ প্রকাশ্যে করেছেন সে ধরনের কোনো দলিল বা তথ্য ঐ মামলার জব্দ তালিকায় নেই। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয় কার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য জনগণের জীবন এমন ঝুঁকিতে ফেলছেন সেই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে উঠেছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে দ্রুত টিকা সংগ্রহে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না করে যেকোনো উৎস থেকেই টিকা সংগ্রহ করতে হবে। রোজিনা ইসলামের মামলায় জব্দ করা কাগজপত্রের কোথায় টিকার চুক্তি সংক্রান্ত গোপনীয় রাষ্ট্রীয় তথ্য রয়েছে সেটা প্রকাশের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানানো হয় বিবৃতিতে।