দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গুণগত মান ও অবস্থান ধরে রাখতে না পারলে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।সরকার গুণগত মানের ব্যাপারে আপস করবে না মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “তাই আমরা সরকারি-বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি ‘ম্যাট্রিক্স’ করছি। যেসব প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাট্রিক্সের’ এর নিচে পড়ে যাবে, সেসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। শিক্ষার্থীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে মার্জ করা হবে।
“ওইসব প্রতিষ্ঠান তারপরেও কোয়ালিটি অর্জন করতে না পারে, তাহলে সেসব প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হবে। কেননা আমরা কোনো অবস্থাতেই চিকিৎসা সেবায় ‘কোয়ালিটির’ ব্যাপারে আপস করব না।”চট্টগ্রাম মা ও শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদ এবং বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
মানসম্মত চিকিৎসক তৈরির জন্য মানসম্মত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন তিনি।“আমাদের চাওয়া সাধারণ মানুষ যেন মানসম্মত চিকিৎসা পায়। ‘কোয়ালিটি’ ডাক্তার তৈরির পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে ‘মানবিক ডাক্তার’ তৈরি করতে হবে,” বলেন তিনি।
‘সাড়ে ৩ হাজার ডাক্তার নিয়োগ’
স্বাধীনতার পর ঢাকার বাইরে বড় কোনো বিশেষায়িত হাসপাতাল গড়ে উঠেনি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।তিনি বলেন, “চক্ষু, নিউরো ও আর্থোপেডিক সবকিছুই ঢাকা কেন্দ্রিক। অথচ বড় শহর হিসেবে চট্টগ্রামে এসব জাতীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা। কী কারণে হয়নি এসব সকলে জানে।
“চট্টগ্রাম মেডিকেল, জেনারেল হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও আধুনিক ল্যাবের অভাব রয়েছে। সুযোগ সুবিধা অপর্যাপ্ত। শুধু সরকারি পর্যায়ে ডাক্তারের সংকট রয়েছে ১০ হাজারের মত। ১২ হাজারের বেশি নার্সের সংকট রয়েছে।”
সরকারি হাসপাতালে সেবার পাশাপাশি কিছু ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হলেও অনেক ওষুধ ও ল্যাব সুবিধা রোগীদের বিনামূল্যে দিতে না পারার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “এটা লজ্জার ব্যাপার। আশার কথা হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার ডাক্তার নিয়োগের ব্যবস্থা হচ্ছে। পাশাপাশি সাড়ে তিন হাজার নার্সও নিয়োগ দেওয়া হবে। ফলে ডাক্তার নার্স সংকট অনেকটা কেটে যাবে।”



