বৃহস্পতিবার,২০,নভেম্বর,২০২৫
26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২০, ২০২৫
প্রচ্ছদসীমানা পেরিয়েগাজায় প্রতিদিন ২৮ শিশুর মৃত্যু, ইউনিসেফের ভয়াবহ সতর্কবার্তা

গাজায় প্রতিদিন ২৮ শিশুর মৃত্যু, ইউনিসেফের ভয়াবহ সতর্কবার্তা

গাজায় শিশু মৃত্যুর ভয়াবহ পরিসংখ্যান: ইউনিসেফের তথ্যে প্রতি দিন গড়ে ২৮ শিশুর মৃত্যু, ১৮ হাজারের বেশি প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে প্রতিদিন গড়ে ২৮টি শিশুর প্রাণহানি ঘটছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, এ মৃত্যু শুধু বোমা বর্ষণেই নয়; অপুষ্টি, অনাহার ও চিকিৎসা না পাওয়ার কারণেও শিশুরা মারা যাচ্ছে।

ইউনিসেফের এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বলা হয়, “প্রতিদিন গাজায় যে পরিমাণ শিশু মারা যাচ্ছে তা একটি শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীর সমান।” সংস্থাটি জরুরি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে—যা ঘণ্টায় অন্তত একজন শিশুর মৃত্যুর সমান।

অন্যদিকে, আল জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, চলমান সংঘাতের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ৯৩৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। সাম্প্রতিক ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে একজন শিশু। মানবিক সহায়তা বন্ধের পর থেকে অনাহারে মারা গেছে ১৮৮ জন, যাদের মধ্যে ৯৪ জন শিশু

শিশুদের জন্য ‘কবরস্থান’ হয়ে উঠছে গাজা

শুধু প্রাণহানি নয়, গাজার শিশুরা ভয়াবহ মানসিক বিপর্যয়ে ভুগছে। আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, বোমা হামলার ধাক্কায় ১০ বছর বয়সী লানা নামের এক শিশুর চুল ও ত্বক সাদা হয়ে গেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সে ‘ট্রমা-ইনডিউসড ডিপিগমেন্টেশন’ রোগে আক্রান্ত হয়েছে, যা চরম মানসিক আঘাতের কারণে ঘটে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের আঞ্চলিক পরিচালক আহমাদ আলহেনদাওয়ি বলেন,

“গাজা এখন শিশুদের জন্য কবরস্থান হয়ে উঠছে। তারা স্বপ্ন দেখার ইচ্ছা হারাচ্ছে। এই প্রজন্ম ভাবতে শুরু করেছে, পৃথিবী তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।”

ইউনিসেফের জরুরি আহ্বান

  • যুদ্ধবিরতি ছাড়া শিশুদের প্রাণ রক্ষা সম্ভব নয়।

  • জরুরি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

  • মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও পুনর্বাসন প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে সংস্থাটি আবারও আহ্বান জানিয়েছে—গাজায় শিশুদের ভবিষ্যৎ বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে

সর্বশেষ