ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিকল্প নিয়ে এখন পর্যন্ত তিন দফা বৈঠক করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ ভেনেজুয়েলার উপকূলে গত দুই মাসে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। এরপর ক্যারিবিয়ানে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বিমানবাহী রণতরি এবং পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুরদিকে জেরাল্ড ফোর্ড এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপও লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে প্রবেশ করে—যার সঙ্গে রয়েছে ৭৫টির বেশি সামরিক বিমান ও পাঁচ সহস্রাধিক সেনা।
শুক্রবার ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তিনি ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাঁচজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকগুলো চলতি সপ্তাহেই হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন নিশ্চিত করেছেন, একটি বৈঠক হয়েছে শুক্রবার। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিল প্রেসিডেন্টকে নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেয় এবং সাধারণত ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার এটির নেতৃত্ব দেন।
হোয়াইট হাউজ এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প বৃহস্পতিবার সিচুয়েশন রুমে বৈঠকে যোগ দেন এবং কয়েকটি বিকল্প নিয়ে ব্রিফিং পান। অবশ্য আলোচ্য বিকল্পের বিষয়ে রয়টার্স কিছুই জানতে পারেনি। তবে এর আগে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনার কথা ইঙ্গিত করেছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর অভিযোগ, ট্রাম্প তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন।
অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তন চাইছেন না। গত আগস্টে ওয়াশিংটন মাদুরোকে গ্রেফতারের তথ্য দিলে পুরস্কারের অঙ্ক দ্বিগুণ করে পাঁচ কোটি ডলার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে মাদক কার্টেল ও অপরাধী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ করেছে। এ পর্যন্ত মার্কিন বাহিনী ওই অঞ্চলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। পেন্টাগন ক্যারিবিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরে অন্তত ২০টি হামলা চালিয়েছে, যাতে ৮০ জন নিহত হয়েছে।



