সোমবার,১৭,নভেম্বর,২০২৫
23 C
Dhaka
সোমবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৫
প্রচ্ছদসীমানা পেরিয়েজেন-জিদের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মেক্সিকো

জেন-জিদের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মেক্সিকো

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মেক্সিকো সিটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০০ জনই পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) হাজারো বিক্ষোভকারী মেক্সিকান রাজধানীতে সহিংস অপরাধ ও প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মিছিল করে।

বিক্ষোভকারীরা ন্যাশনাল প্যালেসকে রক্ষাকারী ব্যারিকেডের অংশ ভেঙে ফেলে। শেইনবাউম এই ভবনেই থাকেন। কম্পাউন্ড রক্ষায় মোতায়েন পুলিশ ভিড়ের ওপর টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে।

শেইনবাউম বলেন, তার সরকারবিরোধী ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা এসব বিক্ষোভে অর্থায়ন করেছে। অন্যান্য শহরেও একই ধরনের মিছিল হয়েছে। এই সমাবেশটি আয়োজন করেছিল জেন-জেড যুব সংগঠনগুলো। তারা বিভিন্ন নাগরিকদের সমর্থন পেয়েছে—বিশেষ করে আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের সমর্থন পেয়েছে তারা। এর মধ্যে রয়েছেন উরুয়াপান শহরের মেয়র কার্লোস মানজো, যাকে কয়েক সপ্তাহ আগে হত্যা করা হয়। তিনি কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।

মেক্সিকো সিটির নিরাপত্তা প্রধান পাবলো ভাসকেজ সাংবাদিকদের জানান, ডাকাতি ও হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা সবাই কার্লোস মানজো’ লেখা ব্যানার বহন করেন, অনেকে আবার মানজোকে স্মরণ করে কাউবয় হ্যাট পরেছিলেন। ১ নভেম্বর ‘ডে অফ দ্য ডেড’ উৎসবে অংশ নেওয়ার সময় মানজোকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি তার শহরে মাদক-চক্রের কার্যক্রম ও কার্টেলসহ বিভিন্ন সহিংসতার ব্যাপারে খোলামেলা বক্তব্য দেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশজুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা সশস্ত্র কার্টেল সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর দাবি করে আসছিলেন। শেইনবাউম কার্টেলদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও মাদকের বিরুদ্ধে আরেকটি সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করার আহ্বানগুলো প্রতিহত করেছেন। তার পূর্বসূরিদের এমন প্রচেষ্টা অতীতে ভয়াবহ রক্তপাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছিল। মিছিল শুরুর কয়েক দিন আগে প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, অনলাইনে বট ব্যবহার করে এই বিক্ষোভ প্রচার করা হচ্ছে।

তিনি এক ব্রিফিংয়ে বলেন, যদি তরুণদের দাবি-দাওয়া থাকে, আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও বিক্ষোভের স্বাধীনতার সঙ্গে একমত, কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই বিক্ষোভ কে প্রচার করছে। দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বছরেই শেইনবাউমের জনপ্রিয়তা ৭০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। তিনি ফেন্টানিল পাচার দমনে অগ্রগতি অর্জন করেছেন—যা তার যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

তবে দেশজুড়ে চলমান সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর বিরূপ মনোভাবও বাড়ছে। এ মাসের শুরুর দিকে পেরুর কংগ্রেস শেইনবাউমকে পারসোনা নন গ্রাটা—অর্থাৎ দেশটির জন্য ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করে।এর কয়েক দিন আগে পেরু মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। কারণ মেক্সিকো সরকার ২০২২ সালের অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়েছিল।

সর্বশেষ