Wall Street Journal (WSJ) এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনিশ্চিত ও হঠকারী নীতি, যেমন বাণিজ্য শুল্ক এবং পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্তহীনতা, চীনকে একটি শক্তিশালী কৌশলগত সুযোগ দিচ্ছে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনে এটা স্পষ্ট যে চীন নিজেকে একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে রাশিয়া ও ভারত অংশ নিচ্ছে, এবং এই মুহূর্তে আমেরিকার নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
Financial Times (FT) এর এর মতে, SCO–তে পুতিন, শি এবং মোদির একত্রিত উপস্থিতি একটি “alternative international order” নির্মাণের দিক নির্দেশ করছে। এই নয়া কাঠামো দিয়ে আমেরিকার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। বিশেষ করে, এটি দুনিয়াব্যাপী মার্কিন প্রভাব হ্রাসের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Washington Post তার এক বিশ্লেষণ উল্লেখ করেছে ট্রাম্পের হঠকারী কূটনীতিক নীতি বিশেষকরে যেমন ভারত, চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক শক্তিশালী হতে সহায়তা করেছে। এরফলে আমেরিকার গ্লোবাল স্ট্যান্ডিং এর ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করবে, বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর কাছে। মার্কিন প্রভাবের বাইরে বিকল্প শক্তির উদয় হচ্ছে।
বাস্তবত চীনের ‘অর্থনৈতিক’ কৌশল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পতনের ক্ষেত্রে সফল কৌশল হিসেবে প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়া হতে পারে বিশ্বরাজনীতির ক্ষেত্রে একটি কৌশলগত বদল। বৈশ্বিক আধিপত্যের জন্য মার্কিন ‘সামরিক কৌশল’ অকার্যকর প্রতীয়মান হলে, দুনিয়া এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
লেখক- এ আর খান আসাদ
লেখক ও গবেষক
জার্মানি থেকে



