চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ ২০০৬ সালের ২৮শে অক্তোবর বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে নিহত হন রাসেল আহমেদ খান।আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় নগরীর দোস্ত বিল্ডিং কার্যালয়ে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে শহীদ রাসেলের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদের প্রতিক্রিতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশকে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে বিএনপি-জামাতের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ১৪দল গঠিত হয়েছিল।সেই সংগ্রামে বায়তুল মোকাররমে জড়ো হওয়া জামাতের ছোড়া গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন তৎকালীন ঢাকা নগরের যুব মৈত্রী কর্মী রাসেল আহমেদ খান।মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে অসম্পদায়িক এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বুকে নিয়ে রাসেল নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করেননি, সে স্বপ্ন আজ দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও অধরা। বরঞ্চ সাম্প্রতিক সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লেবাজধারী বিভিন্ন মহলের জঙ্গিবাদী কর্মকান্ড। যার সর্বশেষ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি চরফ্যাসনের ইউপি চেয়ারম্যানের “সুন্নতি” নিয়মে চুল কাঁটার অভিপ্রায় থেকে।
যুবমৈত্রী মনে করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক,গণতন্ত্রের এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শহীদ রাসেলের স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে যুব মৈত্রী লড়াই চালিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম জেলা যুবমৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আরফা রিংকির সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল মনসুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি অরণ্য অনিমেষ, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ইঞ্জিঃ আব্দুল্লাহ, ছাত্রমৈত্রী চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি সম্পদ রায়, নগর কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ শিকদার, কক্সবাজার জেলা কমিটির সায়মন আলম এবং যুবুনেতা অভি দাশ, মো সায়মন প্রমুখ।