নতুন কথা প্রতিবেদন: প্রতি বছর ভিন্ন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব আসলেই সারাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। অতীতে সকল সময়ে আমরা দেখেছি, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে দোষারপের রাজনীতি গতি পেলেও এহেন সহিংসতা প্রতিরোধে সম্মিলিত উদ্যোগ থাকে না। কতিপয় ঘটনা সংবাদ গণমাধ্যমসহ সামাজিক গণমাধ্যমে অধিক আলোচিত হলে জড়িতদের গ্রেফতার করা হলেও আইনের ফাঁকফেঁকর দিয়ে তারা পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে যায়। ১৪ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার সাথে জড়িত এবং এদের পেছনের মাস্টারমাইন্ডদের কঠিনতর বিচারের দাবি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলো এই মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা কেবল রাজনৈতিক দলের বক্তব্যেই স্থান পাবে, আর দেশে রাজত্ব কায়েম হবে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিরোধী অপশক্তির।
বিবৃতি নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘পূর্বের বিভিন্ন সময়ের ‘প্যান্টার্ন অব কম্যুনাল এ্যাটাকস্’ দেশে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি কুমিল্লার নানুয়া দীঘিতে প্রতীমার নিচে কোরান রাখার গুজব ছড়ানো পূর্বপরিকল্পিত। এর সাথে জড়িত ও তাদের পেছনে থাকা মাস্টারমাইন্ডদের গ্রেফতারসহ কঠিনতর বিচার করতে হবে।