শুক্রবার,২৯,মার্চ,২০২৪
24 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
Homeজাতীয়আসছে ঈদ-বাড়ছে শঙ্কা

আসছে ঈদ-বাড়ছে শঙ্কা

নতুন কথা প্রতিবেদন: “মার্কেট খুলে দিতে হবে”- ব্যবসায়ীদের এমন দাবিতে কঠোর লকডাউনেও খুলে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট। খুলেছে বড় বড় শপিংমলও। প্রতিদিন বাড়ছে ক্রেতার ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। মার্কেটে মানুষের ঠাসাঠাসি দেখে মনেই হবে না দেশে করোনা বলে কিছু আছে! সামনে ঈদ বাজার। ক্রেতার চাপ আরো বাড়বে। বিশ্লেষকরা বলছেন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সামাজিক সঙ্গনিরোধ মানতে হবে, মুখে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নাই। ফলে আসছে ঈদ, বাড়ছে সংক্রমণ শঙ্কা!
জানাগেছে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাজধানীসহ সারাদেশের মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা আসতে শুরু করে। রাত পর্যন্ত চলে মানুষের কেনাকাটা। স্বাস্থ্যবিধির মানার কথা থাকলেও মার্কেটগুলোতে তা মানা হচ্ছে না। অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। হুড়মুড় ঢুকে দোকানের ভেতরে। ফুটপাতে ক্রেতা-বিক্রেতারও অনেক সমাগম। মনেই হবে না দেশ কোনো করোনা সংকটে আছে। স্বাভাবিক সময়েই এইঅবস্থা। ঈদের আগে মানুষ যেভাবে কেনাকাটা করতে আসে। দিন যত যাবে চাপ আরো বাড়বে। আগামী সপ্তাহে ঈদের মার্কেট পুরো জমে যাবে বলে মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা।
মার্কেটে মানুষের এ চাপ দেখে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি, তার ওপর আবার মার্কেটে মানুষের চাপ। এরপর যুক্ত হবে ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ। এই তিনটি ঝুঁকি থেকে কঠোর বিধিনিষেধে করোনার উচ্চ সংক্রমণ যতটা কমেছে তা দ্রুতগতিতে বাড়তে পারে। তারা বলছেন, ঈদযাত্রার চ্যালেঞ্জ থেকে এখন ঈদ মার্কেট বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য।
জনস্বাস্থ্যরা বলছেন, ‘সরকার ব্যবসায়ীদের চাপে এবং শ্রমজীবী মানুষের কথা চিন্তা করে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা কথা দিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি মানবেন। আর ক্রেতাসাধারণও সহযোগিতা করবেন। কিন্তু গতকালকের পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছে, করোনা আছে বলে কেউই মনে করছেন না। জড়ো হয়ে কেনাকাটা করছেন। ঈদের আগে এটা আরো বাড়বে। ফলে গণপরিবহনের বিষয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ‘লকডাউনের’ আদলে দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠপ্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়। আগের বিধিনিষেধ বহালের সঙ্গে নতুন কিছু শর্ত যুক্ত করে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট বাজার/সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কোথা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
ফলে সামনে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরো বড় বিপদের পদধ্বনি।

সর্বশেষ