শনিবার,২৭,এপ্রিল,২০২৪
30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Homeকৃষি ও কৃষ্টিঠকছে চাষী, দামের আগুনে জ¦লছে ক্রেতার পকেট

ঠকছে চাষী, দামের আগুনে জ¦লছে ক্রেতার পকেট

তরমুজের লাভ যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীর পকেটে

চাষীর সাড়ে ৫ টাকা কেজির তরমুজ ঢাকার ক্রেতা খান ৭০ টাকায়

নতুন কথা প্রতিবেদন:  তরমুজ উৎপাদনের কষ্ট জানে কেবল তরমুজ চাষী। কিন্তু সেই তরমুজের ন্যায্য দাম তারা পান না। আবার বাজারে দামের আগুনে জ¦লে ক্রেতার পকেট। নিরুপায় ক্রেতা পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে তরমুজ কিনে বাড়তি দামেই। তাহলে এই তরমুজের লাভ যায় কার পেটে? বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, তরমুজের লাভের অধিকাংশ লাভ যায় দালাল, ফড়িয়া, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী নামক মধ্যস্বত্বভোগীদের পেটে।
সুত্র বলছে, খেত হিসেবে কৃষক যে তরমুজ বিক্রি করে তা হিসেব করলে এক কেজি দাম দাঁড়ায় সাড়ে ৫ টাকা। সেই তরমুজ ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা কিনেন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। মাজখানের প্রথম ধাপে লাভ করে ফড়িয়া। খেত হিসেবে কৃষকদের কাছ থেকে ফড়িয়ারা তরমুজ কিনে পাইকারি মোকামে বিক্রি করে প্রথম ধাপ লাভ করে। সেই তরমুজ পাইকারি মোকাম ‘শতক’ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে আরেক ধাপ লাভ করা হয়। এরপর খুচরা ব্যবসায়ীরা আবার ভোক্তা পর্যায়ে তা কেজি দরে বিক্রি করে লাভ করে। ফলে নানা হাত ঘুরে তরমুজের দাম এলাকাভেদে ১০ গুণও বেড়ে যায়।
গণমাধ্যম সুত্রে জানা যায় এক ব্যবসায়ী ৫ হাজার ৫০০ তরমুজ ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় কিনে। পরিবহন খরচ ও অন্যান্য খরচ মিলে তার মোট খরচ ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি ঢাকায় তা বিক্রি করেছেন ১২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ চাষীর কষ্টে উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করে ফড়িয়া লাভ করেছে প্রায় ৫ লাখ টাকা।
এভাবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তরমুজ উৎপাদন করে প্রকৃত লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষী। আর বাজারে চড়া দামে কিনে ঠকছেন ক্রেতা। মাঝখানে লুটে নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। কেন এই দাম বৃদ্ধি? উত্তর আসে লকডাউন, রমজান ও ক্রেতার চাহিদা! কিন্তু এবার লকডাউনে কোনো কাঁচামাল পরিবহনে বাধা দেওয়া হয়নি। সারাদেশে তরমুজের ফলনও ভালো। ফলে এই অজুহাত মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। মূলত মধ্যস্বত্বভোগীদের মুনাফা লুটার নেশার বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এদের রোখা যাদের দায়িত্ব তারাও পদক্ষেপ নিচ্ছেন দায়সাড়া গোছের। এবার কেজি দামে তরমুজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো তাতে লাভ কী। ব্যবসায়ীরা বেশি দামে পিচ অনুযায়ী তরমুজ বিক্রি করবেন। তাতে ভোক্তার কোনো লাভ হবে না। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সবার আগে গোড়ায় হাত দিতে হবে। সাথে সাথে ব্যবসায়ীদের শকুনি মনোভাব ত্যাগ করতে হবে।

সর্বশেষ