এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দুটি মাদ্রাসার মধ্যে একটি থেকে ৪২৭টি এবং অন্যটি থেকে ১৭৬টি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, সেগুলো কোরবানির ঈদের সময় ব্যবহার করা হয়।”
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের নাশকতার প্রসঙ্গ ধরে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো উল্লেখ করেন, “শুক্রবার তাদের কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচি ঘিরে মাদ্রাসাটি থেকে নাশকতা চালানো হতে পারে বলে তথ্য রয়েছে। তার ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান শুরু করা হয়।”
গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত উপ কমিশনার বলেন, উদ্ধার করা চাকুগুলো এখন পুলিশ হেফাজতে থাকবে। প্রয়োজন হলে কোরবানির ঈদের সময় সেগুলো ফেরত দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার বড় কওমি মাদ্রাসাগুলোর একটি জামেয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগের পরিচালনায় জড়িতরা হেফাজতে ইসলামেরও নেতৃত্বে রয়েছেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজত কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় অন্তত ১১ জন।
গত রোববার সারা দেশে হরতাল করার পর সোমবার দোয়া দিবস হিসেবে পালন করে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক এ সংগঠন। আজ শুক্রবার ফের বিক্ষোভের কর্মসূচি রয়েছে তাদের।
এই দিন যাতে আর কোনো সহিংসতা না ঘটে, সেজন্য সতর্ক ও কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।