শনিবার,২৭,এপ্রিল,২০২৪
30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Homeসারাদেশমোংলায় করোনার বেহাল দশা

মোংলায় করোনার বেহাল দশা

মংলা থেকে নরেশ চন্দ্র হালদারঃকরোনা ঢেউয়ে মোংলার আপামর জনগণ এখন অস্বস্তি আর উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর খবর তত বাড়ছে। ২৫ মে মঙ্গলবার মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম করোনা টেস্ট শুরু হয়। প্রথম দিন ৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায় ৩৩ জন করোনা পজেটিভ। শতকরা হার ৫০ এর কাছাকাছি। ২৯ মে পুনরায় ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩০ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। শতকরা হার গিয়ে পৌঁছায় ৭১.৪২ এ যা রীতিমত উদ্বেগজনক। নিচে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টেস্টের একটা পরিসংখ্যান দেয়া হলো।

তারিখ দিন নমুনা সংগ্রহ পজেটিভ নেগেটিভ শতকরা মন্তব্য
০৭-০৬-২০২১ সোমবার ২৬ ১৪ ১২ ৫৩.৮৫%

বুধবার ও শুক্রবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।

০৬-০৬-২০২১ রবিবার ৩৮ ২০ ১৮ ৫২.৬৩%
০৫-০৬-২০২১ শনিবার ৪৮ ৩৪ ১৪ ৭০.৮৩%
০৪-০৬-২০২১ শুক্রবার ০ ০ ০ ০
০৩-০৬-২০২১ বৃহস্পতিবার ২৫ ১০ ১৫ ৪০%
০২-০৬-২০২১ বুধবার ০ ০ ০ ০
০১-০৬-২০২১ মঙ্গলবার ৫৯ ৩৩ ২৬ ৫৫.৯৩%
২৯-০৫-২০২১ শনিবার ৪২ ৩০ ১২ ৭১.৪২%
২৫-০৫-২০২১ মঙ্গলবার ৬৭ ৩৩ ৩৪ ৪৯.২৫%
মোট ৩০৫ ১৭৪ ১৩১ ৫৭.০৪%

করোনা কালীন সময় মোংলার একমাত্র ভরসাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখানে করোনা রোগীর জন্য সবচেয়ে জরুরী যে অক্সিজেন তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে কোনমতে কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। বেশি অসুস্থ রোগীদের খুলনা গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তিনজন টেকনিশিয়ানের পদ খালি, এক্স রে মেশিন অপারেটর নেই, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম নেই। ফলে করোনা রোগীরা পর্যাপ্ত সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সচেতনতার অভাবে এবং ভয়ে অনেকে হাসপাতালে না এসে বাড়ি বসে সাধারণ চিকিৎসা নিচ্ছে। বাড়িতে করোনা রোগীর আইসোলেশনে থাকার কথা থাকলে ও অনেকে তা মানছে না, আবার কারো কারো বাড়িতে আলাদা রুম না থাকায় তা মানা সম্ভবও হচ্ছে না। বাড়ির সবাই এক সঙ্গে থাকায় করোনায় আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। এমনও পরিবার দেখা যাচ্ছে যে পরিবারে সবাই করোনায় আক্রান্ত। এখানে প্রতিদিনই কারো না কারোর মৃত্যুর খবর কানে আসছে। এই রিপোর্ট লেখা অবধি এক জন মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন। তার স্বামীর অবস্থাও বিশেষ ভালো না বলে জানা গেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কবীর উদ্দিন তার ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন তিনি করোনা টেস্ট করিয়েছেন। তার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ এসেছ। তিনি আরও জানিয়েছেন যে ২৬ জনের টেস্ট করা হয়েছে তারা অধিকাংশ গ্রাম থেকে এসেছে। তার অভিমত শুধু শহরে লক ডাউন দিলে হবে না, গ্রামেও কঠিন লক ডাউন দেওয়া প্রয়োজন। উল্লেখ্য মোংলা উপজেলার পৌরসভায় লক ডাউন চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ