মঙ্গলবার,১৯,মার্চ,২০২৪
28 C
Dhaka
মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪
Homeঅনুসন্ধিৎসাস্বাস্থ্যসামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই রমেক হাসপাতালের নৈরাজ্য বন্ধ হবে

সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই রমেক হাসপাতালের নৈরাজ্য বন্ধ হবে

রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর অঞ্চলের জনমানুষের বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রতি পদে টাকা নেয়া, প্রতিবাদ করলে নির্যাতনের শিকার হওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি অসুস্থ মাকে নিয়ে জরুরী বিভাগে দু ভাই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দু শিক্ষার্থী ভর্তি ফি ৩০ টাকার স্থলে ১শ টাকা নেবার প্রতিবাদ করায় তাদের কর্মচারীদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তদন্ত কমিটি করার কথা বলে কোন কমিটি করা হয়নি। চরম অরাজকতা বিশৃংখলা আর চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে হাসপাতালে। সেই সঙ্গে দালালদের কাছে রোগীরা জিম্মি। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। 

আজ রোববার দুপুরে নগরীর সুমি কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিবাদী রংপুরবাসী আয়োজিত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করন ও ভোগান্তি দূরীকরণের দাবিতে গোল টেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন। বিশিষ্ট শিক্ষবিদ নজরুল ইসলাম হক্কানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ, ওমর ফারুখ, রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার, সিটি প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য জুয়েল আহমেদ, সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, শিক্ষবিদ প্রফেসর শাহ আলম, শাফিয়ার রহমান, নারী নেত্রী মোশফেকা রাজ্জাক, হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেয়াজুল ইসলামসহ বিশিষ্টজনরা। 

আলোচকরা বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে ৩০ টাকা সরকারি ফির বদলে দিতে হয় ১শ টাকা, ট্রলিতে রোগী বহন করতে ২শ টাকা, ওয়ার্ডে নিয়ে যাবার পর বেড পেতে ৫শ টাকা, সকল ধরনের পরীক্ষা বাইরে থেকে করাতে হয়। স্যালাইনের সুই থেকে শুরু করে সকল ঔষধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। চিকিৎসকরা দিনে ২/১ বার আসলেও বিকেলের পর কোন ডাক্তার আসে না। চিকিৎসার নামে চলছে চরম অরাজকতা। হাসপাতালের বেড বাড়িতে নিয়ে যাবার সময় চিকিৎসক ধরা পড়লেও বিচার হয়না। গোলটেবিল বৈঠকে এসব অবস্থা থেকে মুক্তি পাবার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়। পরে রংপুর অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও অধিকার আদায়ে স্বাস্থ্য অধিকার সুরক্ষা পরিষদ গঠনে সাংবাদিক এস এম পিয়ালকে আহ্বায়ক ও রাকিবুল হাসান রাকিবকে সদস্য সচিব করে ১৬ সদস্যের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। 

সর্বশেষ