শনিবার,৪,মে,২০২৪
29 C
Dhaka
শনিবার, মে ৪, ২০২৪
Homeরাজনীতি‘সুযোগ পেলে জামায়াত প্রকৃত চেহারা উন্মোচিত করবে’

‘সুযোগ পেলে জামায়াত প্রকৃত চেহারা উন্মোচিত করবে’

রংপুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তারা সারেন্ডার করে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে। তাদের যারা সহযোগী ছিল রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ও  যে জামায়াতে ইসলামী সেই সময় দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা সবাই কিন্তু বাংলাদেশে রয়ে গেছে। তারা এখনও আছে আমাদের আশেপাশে, আমাদের সঙ্গে আছে মিলেমিশে আছে। কাজেই তারা সময় সুযোগ পেলে তাদের প্রকৃত চেহারা উন্মোচিত করবে, স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হবে এটাই স্বাভাবিক।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। সেখানে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের বীরত্বের ইতিহাস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নির্বাচনের সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও মিথ্যাচার করাই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির মূল কাজ। তারা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে। আমরা বিশ্বাস করি যত অপ প্রচার করুক স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি তাতে কোনো ভাবেই বিভ্রান্ত হবে না। সকল বাধাকে অতিক্রম করে চলাটাই হচ্ছে সফলতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছরের মধ্যে ২৯ বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন আর বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর ও তার উত্তরাধিকার ১৯ বছর মিলে মোট সাড়ে ২২ বছর ক্ষমতায়। আমাদের সাড়ে ২২ বছরের সাথে তাদের ২৯ বছর তুলনা করলে, মানুষ বুঝবে যে তারা ক্ষমতায় থেকে এদেশকে অকার্যকর, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে।’

এসময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাগ্য ভালো বঙ্গবন্ধুর রক্তের ছিঁটেফোটা ছিল বলেই তাকে কেন্দ্র করে বাংলার মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

বিএনপির আন্দোলন ও সহিংতার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) তো বলেছিল ১০ জানুয়ারি বঙ্গভবনে কে বসবে, গণভবনে মা-ছেলে বসবে। কত কথাই তো বলেছে। কথায় আছে না, পাগলে কিনা বলে। তারা চেষ্টা করছে কিন্তু হালে পানি পড়ছে না।’

এর আগে তিনি রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্বাধীনতা গ্যালারি উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, মেট্রোপলিটন কমিশনার মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ