সোমবার,৬,মে,২০২৪
27 C
Dhaka
সোমবার, মে ৬, ২০২৪
Homeরাজনীতি৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে: ফখরুল

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে: ফখরুল

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে বলে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রোববার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে সমাবেশ থেকে এই আল্টিমেটাম দেন বিএনপি মহসাচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিন, শুধু আমেরিকা নয়, দেশের জনগণও আপনাদের স্যাংশন দিচ্ছে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। খালেদা জিয়া অন্তত অসুস্থ, অনেক অনেক বেশি অসুস্থ; চিকিৎসকরা বলেছেন, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। বাংলাদেশে আর তার চিকিৎসা নেই। তাকে বিদেশে না নেয়া গেলে বাঁচানো দুষ্কর হতে পারে।’

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন দেখলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জিততে পারবে না, তখনই তারা সংসদে তা বাতিল করেছে। আজকে গায়ের মধ্যে আগুন লেগেছে।

‘বাইডেন সঙ্গে সপরিবারে ছবি তুলে খুব হেসেছিল। বলেছিলেন আর আমেরিকা যাবেন না, অথচ তিনি আমেরিকা থাকা অবস্থায় ভিসানীতি কার্যকর করা হলো। ভিসানীতি বাংলাদেশের মতো একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য অপমানজনক, যা আমাদের দেখতে হলো।’

কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা একটা বেআইনি সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দমন পীড়ন করছে বলেও অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা আজকে আবার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। একটা গণবিরোধী সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য আপনারা আর অবস্থান নেবেন না। কারণ, এখন দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। যতই চেষ্টা করেন, এই দেশের মানুষকে আর ঘরে ফেরাতে পারবেন না।’

বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে থাকব। শান্তিপূর্ণভাবেই আমরা প্রতিবাদ করে যাব। শান্তিপূর্ণ এই প্রতিবাদের কথা শুনে শেখ হাসিনার শুভবুদ্ধির উদয় হবে, এটাই আশা। দেশের মানুষ জানে কী করে দাবি আদায় করতে হয়।’

সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিভিন্ন কুঞ্জে কুঞ্জে আমলারা মিটিং করে বেড়াচ্ছেন। কারণ যে কোনো মূল্যে গুম-খুন করেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। গুম, খুন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এতোটা মরিয়া যে, যতটা আওয়ামী লীগও মরিয়া না।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শেখ হাসিনার ছেলের বিদেশে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি এদেশের জনগণের, এর জন্য আমাদের বহু কথা আছে। আপনি (শেখ হাসিনা) যেভাবে সহজে বলেছেন আর দেখছেন বিষয়টা এতো সহজ নয়।’

বিএনপির কয়েক হাজার নেতা–কর্মীর উপস্থিতির কারণে বেলা দুইটা থেকেই রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় দক্ষিণ পাশের সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আড়াইটার পর থেকে আরেক পাশের সড়কেও যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। আজকের কর্মসূচিতে পুলিশের উপস্থিতি তেমনটা দেখা যায়নি।

সর্বশেষ